বাংলা হান্ট ডেস্ক :বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি বিজেপিতে ইস্তফা দেওয়ার কথাও শোনা গিয়েছিল যদিও তার পর থেকে আর সে ভাবে কোনও কথা শোনা যায়নি কিন্তু রাজনৈতিক জল্পনার মধ্যেই এ বার অন্য এক জল্পনা এসে জুটল। মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, যদিও জল্পনাটা অনেক আগে থেকেই শোনা গিয়েছিল।
তিনি ইস্তফা দিতে চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন কিন্তু তার পর আর সে বিষয়ে কোনো গুঞ্জন শোনা যায়নি কিন্তু বৃহস্পতিবার সরাসরি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন বৈশাখী। র আগে তাঁকে বিভিন্ন ভাবে কলেজে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে কার্যত সংবাদমাধ্যমের সামনে নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি তবে পুরো বিষয়টি বিচার বিবেচনা করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন কিন্তু কিছুদিনের জন্য চেপে গেলেও সেই ইস্তফাই দিলেন বৈশাখী।
ইস্তফা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাত্কারে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যেহেতু তাঁকে নিয়ে কলেজের এত সমস্যা তাই তাঁর সরে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করছেন আর তাঁকে সরানোয় মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন। তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। প্রশাসনিক সঙ্কটের জন্যই তিনি অব্যাহতি নিয়েছেন বলে জানান বৈশাখী।
এভাবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হয়েছে তাই কয়েকদিন আগে মিল্লি আল আমিন মিশনে পৌঁছনো মাত্রই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় কলেজ চত্বরে আর তাই নিয়ম শৃঙ্খলার অভাবে তিনি অধ্যক্ষের পদ ছাড়লেন।
উল্লেখ্য, মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বঙ্গ রাজনীতির সমীকরণ যুক্ত হওয়ার পর কার্যত কলেজের কাছে তিনি এক অন্য মানুষ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তাই করে যে নানা ভাবে নানা সময়ে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে এর আগেও তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে এ কথা জানিয়েছিলেন। তবে এবার বদলি না হয়ে সরাসরি ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে এবার নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনৈতিক অন্দরে।