বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘বৈশাখী তুমি মদন মিত্রকে নিজের ফোন নম্বর দিও না’, একদা ঠিক এভাবেই শোভন-বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে (Baisakhi Banerjee) সতর্ক করেছিলেন তাঁর মন্ত্রী তথা প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। গতকাল একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে এ কথা ফাঁস করলেন বৈশাখী নিজেই।
সম্প্রতি, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ অর্থ এবং একাধিক সোনা গয়না মেলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। একইসঙ্গে পার্থর বিরুদ্ধে একাধিক সময় বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের।
সেই ধারা বজায় রেখে গতকাল এই প্রসঙ্গে একাধিক মন্তব্য করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়। গতকাল একটি অনুষ্ঠানে একইসঙ্গে মিলিত হন শোভন-বৈশাখী এবং মদন মিত্র, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যা নজিরবিহীন বলা চলে। বিজেপি ছাড়ার পর একদিকে যখন শোভন এবং বৈশাখী তৃণমূলে আসার চেষ্টা করে চলেছেন, সেই সময় মদনের সঙ্গে সাক্ষাৎ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
তবে গতকাল সেই সকল বিতর্ক সরিয়ে গান-নাচ এবং আড্ডায় মাততে দেখা যায় সকলকে। পরবর্তীতে বৈশাখী বলেন, “সরকারি ভবন উত্তীর্ণ-এ একটি সভাগৃহে অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় শোভন মঞ্চে ছিল। আরো বেশ কয়েকজন ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনও আসেননি। আমি একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ একজন এসে বলল, আপনি এখানে বসবেন? আমি অবশ্য সেক্ষেত্রে নাই বলেছিলাম। তখন মদনদা বললেন, ‘বসলে বসে পড়ো।’ তবে এরপরই আমার ফোনে একটি মেসেজ আসে যেখানে লেখা ছিল, ‘মদনকে কিন্তু নিজের ফোন নম্বর দেবে না।’ এটা শোভন বললে মানা যেত। তবে এটা লিখেছিল আমার মন্ত্রী।”
এরপরই বৈশাখী বলেন, “উনি আমার মন্ত্রী ছিলেন। যার বান্ধবীকে নিয়ে এখন আলোচনা হয়ে চলেছে। পরে আমি এই প্রসঙ্গে পার্থদাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, অত দূরে মঞ্চ থেকে কিভাবে দেখতে পেলেন? উত্তরে তিনি বলেন, ঘুরেফিরে তুমি মদনের পাশে গিয়েই দাঁড়ালে দেখছি।”
এ প্রসঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রংটং মেখে থাকলে সেটাকে লোকে জোকার ভাবে। তাকে দেখে লোকে হাসাহাসি করে। এরকম অনেক জোকার ঘুরে বেড়াচ্ছে।” মদনের সংযোজন, “অন্যের ব্যাপারে মাথা ঘামালে এই হয়। পার্থদার জন্য খারাপ লাগছে। উনি যদি নিজের বিষয়ে মাথা ঘামাত, তবে পস্তাতে হত না।” যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে মদন মিত্রের প্রশংসা শোনা গিয়েছে বৈশাখীর গলায়। তিনি বলেন, “অনেকেই আড়ালে আমাকে নিয়ে প্রশংসা করে তবে মদনদা হলেন ওপেন মাইন্ডের। উনি মুখের ওপর কথা বলেন।”