এসেছিল বহু বিয়ের প্রস্তাব! কিন্তু শোভন যা বলেছিলেন…এবার আসল সত্যিটা জানালেন স্বয়ং বৈশাখী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েক বছরে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baishakhi Banerjee) নাম সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) সাথে তাঁর সম্পর্ক, প্রাক্তন স্বামী মনোজিৎ মন্ডলের সাথে তিক্ততা, এসবই বারবার হয়েছে খবরের হেডলাইন্স। বৈশাখী নিজে অবশ্য কোনও কিছুই কখনো লুকাননি।

নিজে যেমন নিজের প্রেমিকাসত্ত্বাকে আমল দিয়েছেন, তেমনই গুরুত্ব দিয়েছেন নিজের মাতৃসত্ত্বাকেও। বৈশাখী জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছে পারিবারিক হিংসা। মেয়ে মহুলকে নিয়ে শোভনের সাথে বর্তমানে নিশ্চিন্তে দিন কাটাচ্ছেন বৈশাখী। তবে এর মধ্যেও মনে ফিরে ফিরে আসে তাঁর অতীত জীবনের দিনগুলি।

   

আরোও পড়ুন : তিনবার ফেল করেও মানেননি হার, অবশেষে UPSC ক্র্যাক করে শ্রীরামপুরের তরুণী উজ্জ্বল করলেন বাংলার মুখ

মেয়ের সামনেই প্রাক্তন স্বামী বৈশাখীকে বিকৃত যৌন কর্ম করতে বাধ্য করতেন। বৈশাখীর কথায়, “মার খাওয়ার পর সেই পুরুষের সাথে বিছানায় শুতে যাওয়ার থেকে বড় গ্লানি জীবনে আর কিছু নেই।” অতীত জীবনের কথা বলতে গিয়ে বৈশাখী বলেন, “মনোজিৎ বলেছিল আগে মেয়ের ডিএনএ টেস্ট করাও, তারপর বুঝব আমি বাবা।”

আরোও পড়ুন : জলের সমস্যা, বেহাল রাস্তাঘাট! ‘দিদি কিছু শোনেই না’, শেষবেলায় প্রচারে বেরিয়েও ক্ষোভের মুখে শতাব্দী

তারপর খানিকটা আপক্ষেপে সুরে বৈশাখী বলেন, “খুব ভালো মা আমি হতে পারিনি। ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা ভেবে অনেক সময় হিংস্রভাবে লড়াই করতে গিয়েছি। সেই ঘটনার প্রভাব যে মেয়ের উপর পড়বে তা ভেবে দেখিনি।” বৈশাখী অনেক বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। তবে কেউ তাঁকে মেয়েকে মানুষ করার আশ্বাস দিতে পারেনি।

sovan boisakhi 3

তবে বৈশাখী বলেন, “যেদিন প্রথম শোভনের সাথে থাকতে শুরু করি, ও বলেছিল যাও, মেয়েকে নিয়ে এস।” অন্যের বাবাকে নিজের বাবা বানানোয়  বৈশাখী একদমই বিশ্বাসী নন। মহুল একবার বৈশাখীকে সরল মনে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “কী নামে ডাকব শোভনকে?” এর উত্তরে বৈশাখী মেয়েকে বলেছিল, “তুমি শোভনকেই জিজ্ঞাসা করো।” মহুলকে শোভন বলেন, “তুমিও দুষ্টুমি কর। আমিও দুষ্টুমি করি। ‘দুষ্টু’ নামেই ডাকো আমাকে।”

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর