বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এই মুহূর্তে বাংলার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নারদ কান্ড। ইতিমধ্যেই আদালত মারফত জেল থেকে মুক্তি পেলেও গৃহবন্দী থাকার নির্দেশ পেয়েছেন চার অভিযুক্ত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম। রাজ্য রাজনীতিতে একদিকে যেমন টানাপোড়েন চলছে নারদ কান্ড নিয়ে তেমনই অন্য এক টানাপোড়েনও এই মুহূর্তে উঠে এসেছে খবরের শিরোনামে তা হল শোভন-বৈশাখীর সম্পর্কের টানাপোড়েন। শোভন চট্টোপাধ্যায় জেলে যাবার পর প্রথম দিন থেকেই একদিকে যেমন পাশে পেয়েছেন প্রাক্তন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে , ঠিক তেমনি পাশে পেয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এমনকি প্রেসিডেন্সি জেলে থাকার সময় শোভনকে ওষুধ দিতে না পারায় গেটের সামনেই কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি।
এরপর হাসপাতাল পর্বেও সর্বদাই শোভনের সঙ্গে ছায়াসঙ্গীর মত ছিলেন বৈশাখী। এমনকি তাকে ছাড়া আর কাউকে যেন তার মেডিকেল আপডেট দেওয়া না হয় একথাও জানিয়েছিলেন শোভন। তবে সেই পর্ব এখন মিটেছে। নিজের থেকে রিস্ক বন্ড সই করে গোলপার্কের ফ্ল্যাটে ফিরেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর তার পরিচর্যার ভার গ্রহণ করেছেন বৈশাখী। অবশ্য মূলত তার ইচ্ছাতেই বাড়িতে আনা হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। প্লাস্টিকের ইতিমধ্যেই চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য উপযুক্ত করে তুলেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। অক্সিজেন, নেবুলাইজারের ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে। এর আগে শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তিনি পুরোপুরি সুস্থ তাকে জোর করে হাসপাতালে আটকে রাখা হচ্ছে। বৈশাখী জানিয়েছিলেন মূলত যেসব রোগের চিকিৎসা বাড়ি থেকে হয় সেসবের চিকিৎসা হচ্ছে হাসপাতালে। আর সেই কারণেই শোভনকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন তারা।
এদিন সংবাদমাধ্যমকে বৈশাখী জানান বাড়িতে ফিরে অনেকটাই সুস্থ শোভন। যদিও দাদার মৃত্যু তাকে এখনো কষ্ট দিচ্ছে। তিনি বলেন ‘‘বাড়ির পরিবেশ ওঁকে অনেকটা শান্তি দিয়েছে। টিভি দেখছেন। খাবার খাচ্ছেন। খবর পড়ছেন। অক্সিজেন, নেবুলাইজার কোনও কিছুরই দরকার পড়েনি।’’ তবে একই সঙ্গে ডায়েট চার্ট এখনো পালন করতে হচ্ছে শোভনকে। বুকে ব্যথা অনেকটাই কম। বৈশাখী জানান তবে ১৪ দিনের যে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল সেটা এখনো চলছে। নারদ কান্ড এবং ব্যক্তিগত জীবন দুই নিয়েই এই মুহূর্তে টানাপোড়েনে রয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এখন আগামী দিনে ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সকলে।