বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে Bajaj অল্টারনেটিভ ফুয়েল অপশন যুক্ত যানবাহণগুলির দিকে যথেষ্ট নজর দিচ্ছে। অর্থাৎ, সেক্ষেত্রে পেট্রোল-ডিজেল ছাড়াও সস্তা বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি এই কোম্পানি বিশ্বের প্রথম CNG মোটরসাইকেল লঞ্চ করেছে। যেটি বিশেষভাবে এন্ট্রি লেভেল ব্যবহারকারীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, Bajaj এখন ক্লিন এবং রিন্যুয়েবল এনার্জির ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য ইথানল চালিত টু-হুইলার্স এবং থ্রি-হুইলার্স তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
একের পর এক চমক আনছে Bajaj:
সম্প্রতি Bajaj Auto-র CEO রাজীব বাজাজ একটি সাক্ষাৎকারে নতুন ইথানল বেসড বাইকের বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন। Bajaj Freedom 125 CNG লঞ্চের সময়ে তিনি দেশে CNG মোটরসাইকেলের রেঞ্জ বাড়ানোর কথাও বলেন।
১০০ cc-র CNG মোটরসাইকেল: প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, Bajaj তার 100 cc সেগমেন্টের বাইকগুলিকে টার্গেট করবে এবং সেগুলিকে CNG জ্বালানির বিকল্প যুক্ত করবে। আশা করা হচ্ছে যে, এই এন্ট্রি লেভেল ক্যাটাগরিতে Hero Splendor-এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য Bajaj একটি ১০০ cc-র CNG মোটরসাইকেল লঞ্চ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যার (এক্স-শোরুম) মূল্য প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা হতে পারে। তবে, বর্তমানে, কোম্পানি এই বাইক এবং এর লঞ্চ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
আরও পড়ুন: আর রইল না প্রথম স্থান! এশিয়ার সবথেকে ধনী ব্যক্তির তকমা হারালেন আম্বানি, এই ধনকুবের দিলেন টেক্কা
যদিও, রাজীব বাজাজ নিশ্চিত করেছেন যে Bajaj সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে ইথানল গাড়ির লাইনআপ চালু করবে। সেই সময়ে টু-হুইলার্স এবং থ্রি-হুইলার্স উভয়ই প্রদর্শন করা হবে। সেগুলি এই বছরের শেষের দিকে লঞ্চ করা হবে।
আরও পড়ুন: শুধু শপিং নয়! ক্রেডিট কার্ড দিয়ে আস্ত গগনচুম্বী ইমারত কিনে ফেললেন এই ব্যক্তি, জানালেন….
Freedom 125 CNG বাইকের বৈশিষ্ট্য: জানিয়ে রাখি যে, Bajaj-এর Freedom 125 CNG বাইকের (এক্স-শোরুম) দাম ৯৫ হাজার থেকে ১.১০ লক্ষ টাকার মধ্যে। এই বাইক ডিস্ক এবং ড্রাম ব্রেক অপশনে উপলব্ধ রয়েছে। পাশাপাশি এই বাইক গ্রে, রেড, ব্লু, হোয়াইট এবং ব্ল্যাক রঙে পাওয়া যাবে। এই বাইকে রয়েছে LCD ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, কল সুইচ, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, এলইডি হেডলাইট, ডে রানিং লাইট (DRL), ২৪০ মিমি ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেক, ১৩০ মিমি রিয়ার ড্রাম ব্রেক। এই মোটরসাইকেলটি CNG মোডে ১০২ কিমি/কেজি এবং পেট্রোল মোডে ৬৫ কিমি/লিটার মাইলেজ দিতে পারে। ট্যাঙ্ক ফুল হওয়ার পরে, এই বাইক ৩৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।