রাম মন্দিরের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতে যাওয়া বিজেপির যুব মোর্চার সদস্যকে নৃশংস ভাবে হত্যা!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিল্লীর মঙ্গলপুরী এলাকায় বুধবার রাতে হামলাকারীরা বিজেপির যুব মোর্চার এক কর্মীকে বেধড়ক মারধোর করে, এরপর চাকু দিয়ে বারবার আঘাত করে তাঁকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই ঘটনার পর এলাকায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাম মন্দিরের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতে যাওয়ায় বিজেপির যুব মোর্চার সদস্য রিঙ্কু শর্মাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা।

যদিও পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয় যে, দশহরায় রাম মন্দির পার্কে অনুষ্ঠিত প্রোগ্রাম নিয়ে অন্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিবাদ হয়েছিল। আর তাঁর জেরেই রিঙ্কু শর্মাকে খুন করা হয়। রিঙ্কুর ছোট ভাইয়ের অভিযোগে পুলিশ মামলা দায়ের করে ৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

মৃত যুবক রিঙ্কু শর্মা (২৫) নিজের বাবা-মা, আর দুই ভাইয়ের সঙ্গে মঙ্গলপুরী এলাকায় বসবাস করত। একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজও করত রিঙ্কু। মৃত যুবকের ভাই মনু শর্মা জানায়, তাঁর বাড়ি থেকে একটু দূরে নাসিরুদ্দিন, মহম্মদ ইসলাম, মেহতাব আর জাহিদরা থাকে। মনু জানায়, কিছুদিন আগে রাম মন্দির পার্কে দশহরা প্রোগ্রাম নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের তর্কাতর্কি হয়েছিল।

এরপর থেকেই অভিযুক্তরা তাঁদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাতায়াতের সময় তাঁদের প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে যেত। বুধবার রাত প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ অভিযুক্তরা আরও কয়েকজনকে সঙ্গে করে নিয়ে রিঙ্কুর বাড়িতে যায় আর দশহরার দিন হওয়া বিবাদের কথা তুলে গালিগালাজ করতে থাকে। রিঙ্কু আর তাঁর ভাই তাঁদের কার্যকলাপের বিরোধিতা করলে জাহিদ আর বাকিরা রিঙ্কু আর মনুকে লাঠিপেটা শুরু করে দেয়। এরপর মেহতাব রিঙ্কুর শরীরে চাকু দিয়ে একের পর এক হামলা করে।

মেহতাবের চাকু রিঙ্কুর শিরদাঁড়ার হাড়ে ফেঁসে যায়। এরপর অভিযুক্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। মনু আর বাকি পরিবার রিঙ্কুকে নিয়ে সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে যায়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন বৃহস্পতিবার সকালে রিঙ্কুর মৃত্যু হয়। রিঙ্কুর পরিবারের অভিযোগের পর মধ্য রাতে পুলিশ চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।


Baisakhi Dutta

সম্পর্কিত খবর