রাজীব মুখার্জী, হাওড়া
ধর্মের সাথে রাজনীতির বিষয়টি বহু চর্চিত। ধর্মের সাথে রাজনীতিকে মিশিয়ে সম্প্রদায়ের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিয়েও বহু অভিযোগ উঠেছে এই রাজ্যে। ধর্মীয় তোষণ ভোট ব্যাংকের উদ্দেশ্যে সেই নিয়েও তর্ক ও বিতর্ক এখন চলছে এই রাজ্যে। তারই মধ্যে এক নতুন ধর্মীয় রাজনীতির রং লাগলো হাওড়া বাঁকড়া তে।বিজেপি করার অপরাধে একটি মুসলিম পরিবারকে সামাজিকভাবে একঘরে করার অভিযোগ উঠল মসজিদ কমিটি ও শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।পরিবারের দাবি শুধু বিজেপি দল করার জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগের তির এলাকার মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। হাওড়া জেলার বাঁকড়া এলাকার কাটলিয়ার ঘটনা। ওই গ্রামের বাসিন্দা শেখ আলম পেশায় জামাকাপড়ের ব্যবসায়ী। শেখ পরিবার ওই গ্রামেরই এখন একঘরে হয়ে রয়েছে প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে। কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গ্রামের কেউ এবং মসজিদের ইমাম কেউ এসে না। অভিযোগ, নিজের গ্রামেই কার্যত একঘরে হয়ে রয়েছে এই পরিবারটি।
পরিবারের মহিলা সদস্য শেখ জোৎসনারা বেগম অভিযোগ করেন এটা কি হচ্ছে। আমি বিজেপি করি, আমার স্বামী পঞ্চায়েতের নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিল, আমার ছেলে জেলা অফিসের পদাধিকারী, সেই আক্রোশেই এই জুলুম ও একঘরে করে রাখা হয়েছে। আমরা কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধাও পাই না। তিনি আরো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন কিছুদিন আগে তার নাতি মারা গেলে মসজিদ কমিটি তার নাতির কোনোরে তাকে মাটি দেওয়া থেকেও বঞ্চিত করে। তার প্রশ্ন এটাই কি ভারতের নিয়ম! তাদের বাড়ি অব্দি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাও তিনি দাবি করছেন যে তিনি বিজেপি ছাড়বেন না। স্থানীয় প্রশাসন ও থানা তেও জানিয়ে কোনো কাজ হয় নি। অভিযোগ জমা নেয় নি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় প্রতিবেশী শেখ রহমান জানাচ্ছেন যে এটা সত্যি যে তাদেরকে একঘরে করা হয়েছে। মসজিদ কমিটি থেকে তাদের কে বাদ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে মসজিদ কমিটির তরফে তাদের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করে যে ওই পরিবারের কেউ মসজিদে আসে না। নামাজ পড়তে আসে না। এলাকার মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখে না।
পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি তাদের দিকে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন তৃণমূল কারো ধর্মীয় আচরণে হস্তক্ষেপ করে না দল। এটা পরিকল্পিত ভাবে চক্রান্ত করে মসজিদ কমিটির গায়ে কালি ছেটানোর চেষ্টা করছে। এগুলো মিথ্যে অভিযোগ। এই ধরণের কিছুই ঘটেনি।