বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরমের ছুটি, লোকসভা নির্বাচন, ইতিমধ্যেই সব শেষ হয়েছে। তবুও খোলেনি স্কুল। তাই এবার অবিলম্বে পঠন-পাঠন চালুর দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। মাধ্যমিল পরীক্ষা এগিয়ে আসছে। সিলেবাস যদি শেষ না হয়, আমাদের কী হবে সেটা কি কেউ ভেবেছে? প্রশ্ন বামনঘাটা হাই স্কুলের (Bamanghata High School) এক শিক্ষার্থীর।
শনিবার ভাঙর (Bhangar) ২ ব্লকের ওই বিদ্যালয়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। বামনঘাটা হাই স্কুলের পড়ুয়ারা বামনঘাটা বাজারের কাছে বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করেন। পড়ুয়াদের পাশাপাশি সেখানে অভিভাবক এবং কয়েকজন শিক্ষকও ছিলেন। অবিলম্বে ক্লাস চালু করার দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা। এদিকে রাস্তা অবরোধ করার ফলে সেখানে যানজট তৈরি হয়।
এই খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে হাজির হয় কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। বিক্ষোভরত পড়ুয়া, শিক্ষা এবং অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পর বেলা ১২:৩০ নাগাদ বিক্ষোভ তোলা হয়। নির্বাচন পরবর্তী হিংসা সামাল দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) জওয়ানরা বিদ্যালয়ে ক্যাম্প করে থাকার কারণে বিগত প্রায় আড়াই মাস ধরে ক্লাস হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় দুর্নীতির দিন শেষ! এবার বিরাট পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার
উল্লেখ্য, তীব্র দাবদাহ থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে গত ২২ এপ্রিল রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে গরমের ছুটির নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মাঝেই আবার শুরু হয় লোকসভা নির্বাচন পর্ব। সেই কারণে রাজ্যের বহু বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকতে দেওয়া হয়।
এদিকে নির্বাচন মিটতেই গত ৩ জুন থেকে স্কুলের কাজকর্ম শুরু হয়ে গিয়েছে। ১০ জুন থেকে শুরু হয়েছে পঠন-পাঠন। তবে রাজ্যের কিছু কিছু বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী ক্যাম্প থেকে যাওয়ার কারণে ঠিকভাবে ক্লাস শুরু করা যায়নি বলে অভিযোগ। কার্যত বাধ্য হয়ে কয়েকটি বিদ্যালয়ে বিভিন্ন দিনে ভাগ করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
বামনঘাটা হাই স্কুল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই বিদ্যালয়ের প্রায় ২০টি ক্লাস ঘরে জওয়ানরা রয়েছেন। তাঁরা বিদ্যালয়ের শৌচাগারও ব্যবহার করছেন। সেই কারণে এখনও অবধি ক্লাস চালু করা যায়নি। দশম শ্রেণির এক ছাত্র এই বিষয়ে বলেন, স্কুল বন্ধ থাকার জন্য পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। অবিলম্বে ক্লাস চালু করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানস হালদার বলেন, ‘এটা পিছিয়ে পড়া এলাকা। এখানকার বহু পড়ুয়ার গৃহশিক্ষকের পড়ার ক্ষমতা নেই। স্কুলের পঠন-পাঠনই একমাত্র ভরসা। সেই কারণে যাতে দ্রুত ক্লাস শুরু করা যায়, প্রশাসনের কাছে সেই আর্জিই জানাচ্ছি’।