অনেকের মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধারণা থাকে যে, মাংস খেলে তবেই শক্তিশালী হওয়া যায় আর শাকাহারী মানুষ দুর্বল। যদিও বাস্তবে ভারতের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে মাংসর তুলনায় শাকাহার খাদ্য বেশি উত্তম। অন্যদিকে শীতকালীন দেশে মাংস জাতীয় খাদ্য বেশি উত্তম। ভ্রান্ত ধারণার কারণে ভারতের লোকজন বর্তমানে প্রচুর পরিমানে চিকেন ও অন্যান্য মাংস খাদ্যরূপে গ্রহণ করে। এর মধ্যে চিকেন এমন এক খাদ্য মানুষের শরীরকে ভেতর থেকে দুর্বল করে তোলে।
ভারতের পোল্ট্রি ফার্মগুলিতে যে সকল মুরগী পালন করা হয় সেই মুরগীর উপর প্রচুর পরিমানে রাসায়নিক পদার্থ ব্যাবহার করা হয়। খুব তাড়াতাড়ি যাতে মুরগি বেড়ে ওঠে ও ওজনে বৃদ্ধি পায় তার জন্য ব্যাপক হারে আন্টিবায়োটিক ব্যাবহৃত হয়। বাচ্চা অবস্থাতেই মুরগীদের দেহে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় আন্টি বায়োটিক। অক্সি টেট্রাসাইকিলিন, ক্লোরো টেট্রাসাইকিলিন, সিপ্রো ফলকসিন, নিউরোমাইসিন, আমিনো গ্লাইকোসাইড ইত্যাদি নানা আন্টিবায়োটিক ব্যাবহৃত হয় মুরগীর ওজন বজায় রাখার জন্য। অন্যদেশে এই পোল্ট্রিফার্মে এই সব আন্টি বায়োটিক ব্যাবহার নিষিদ্ধ হলেও ভারতে ব্যাপকহারে এই পদার্থগুলির ব্যাবহার করা হয়। WHO এর মতে এই আন্টিবায়োটিকগুলি মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।
জানিয়ে দি, সরাসরি চিকেন খাওয়া ব্যাক্তিদের উপরে আন্টিবায়োটিকের প্রভাব দেখা যায় একই সাথে যারা মাছ বা শাকাহারী খাদ্য গ্রহণ করে তাদের দেহতেও বিষাক্ত আন্টিবায়োটিক প্রবেশ হয়। কারণ পোল্ট্রিফার্মে থেকে মুরগির মল নিয়ে এসে তা পুকুরে মাছের খাদ্য ও সবজির সার হিসেবেও ব্যাবহৃত হয়। এই আন্টিবায়োটিকগুলির কারণেই বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বেশি টিউবারক্লসিসের ঘটনা ভারতে দেখা যাচ্ছে। শুধু এই নয়, সবথেকে বেশি মাল্টিটিউবারক্লসিসের ঘটনাও ভারতে হচ্ছে। এমনকি ক্যানসারের মতো ভয়ংকর রোগও ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ভারতবর্ষ জুড়ে। পোল্ট্রিফার্মে ব্যাবহৃত এমনি এক আন্টিবায়োটিকের নাম হলো কলিস্টিন। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ভারত সরকার এই কলিস্টিন ব্যাবহারের উপর ব্যান লাগিয়েছে। সেকশন 26A এর ব্যাবহার করে সরকার ক্ষতিকারক কলিস্টিনের উপর ব্যান লাগিয়েছে। এনিম্যাল ও ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে কলিস্টিনের উপর ব্যান লাগিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়।