শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu adhikari) পদত্যাগের পর থেকে ভাঙন অব্যাহত তৃণমূল (tmc) শিবিরে। গতকাল সকাল শুরু হয় ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের পদত্যাগ দিয়ে, এর পর একের পর এক নেতা কর্মী ছাড়তে থাকেন ঘাসফুল শিবির।
তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটে বৈঠক ডাকলেও ভাঙন আটকানো যায় নি। শাসক শিবির ত্যাগ করেন মালদার গাজলের বিধায়ক দিপালি বিশ্বাসের স্বামী, মালদার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত বিশ্বাস। প্রায় একই সাথে দল ছাড়েন বিধায়ক বনশ্রী মাইতি।
বনশ্রী শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিত। তিনি কাঁথি উত্তরের বিধায়ক । শুক্রবার রাতে ইমেল মারফত দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছে নিজের ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি৷ মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে মেদিনীপুর সহ রাজ্যের আরো একাধিক বিধায়ক দলত্যাগ করবে।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ার পরপরেই দল ছেড়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শীলভদ্র দত্তের মতো নেতারা। সরাসরি শুভেন্দুর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে দল ছেড়েছেন সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি কবিরুল ইসলাম। ইতিমধ্যেই দলনেত্রীর কাছে তিনি তার ইস্তফা পত্র দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
বরাবরই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত এই সংখ্যালঘু নেতার স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আগামী দিনে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আমি থাকব। ঊনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই সিদ্ধান্তকে পাথেয় করে চলব। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ফেরানোর দায়িত্ব আমাদের মতো যুব সমাজেরই।’। সম্ভবত অমিত শাহের সভাতেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী। তিনিও যে তারই অনুগামী হবেন স্পষ্টই সেই বার্তা দিলেন কবিরুল।