বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কমছে বিজেপির (bjp) গুরুত্ব, ভাঙ্গছে দল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে বনগাঁয় (bangaon) সাংগাঠনিক জেলার পুনর্বিন্যাস করেছিল গেরুয়া শিবির, এখন সেখানেই চলছে দল ভাঙনের খেলা। পদ্ম শিবিরের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে পদ এবং দল দুইই ছাড়লেন বনগাঁ সাংগাঠনিক জেলার সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি (Bangao Minority Cell President) খালেক বিশ্বাস।
তৃণমূল ছেড়ে ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর, একুশের নির্বাচনের পূর্বে এই গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয় খালেক বিশ্বাসকে। কিন্তু নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই, বিজেপি শিবিরের অনেককেই দেখা গিয়েছিল ফুল বদল করতে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাতে চলেছেন খালেক বিশ্বাস।
বিজেপি ছাড়ার পর অন্য দলে যে নাম লেখাবেন না, তা কিন্তু নিশ্চিত করলেন না খালেক বিশ্বাস। এই প্রসঙ্গে জল্পনা জিইয়ে রেখে খালেক জানিয়েছেন, ‘রাজনীতির লোক আমি। তাই রাজনীতি থেকে সরে যাব না। তবে অন্য কোন দলে সম্মানীয় জায়গা পেলে একবার ভেবে দেখব। এখনও এবিষয়ে কিছু পরিকল্পনা করিনি’। দলের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার জেলা সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্রও পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর্ডিনেটর গোপাল শেঠের বক্তব্য, ‘নিজেদের স্বার্থে কিছু লোক বিজেপিতে গিয়েছিলেন। আর বিজেপি এরাজ্যে ক্ষমতায় আসবে না, সেটা ভেবে এখন অনেকেই দল ছেড়ে দিচ্ছেন। এই ঘটনা নতুন কিছু নয়’।
বনগাঁয় বিজেপির যে একটা বড় আধিপত্য ছিল, তা ধীরে ধীরে বিলুপ্তির দিকে এগোচ্ছে। ভাঙন দেখা দিচ্ছে পদ্ম শিবিরে। দলীয় বৈঠকে নানা অযুহাত দেখিয়ে সাংসদ, বিধায়কদের গরহাজির থেকে শুরু করে জেলার সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতির পদত্যাগ। সব মিলিয়ে বনগাঁয় বেশকিছুটা সংকটে রয়েছে গেরুয়া শিবির।