‘পয়সা দিত না’…চোখে জল আনা কাহিনী শোনালেন বনগাঁর কালীদি! ৯০ টাকার মটন বেচে টক্কর দেন নন্দিনীকেও

বাংলাহান্ট ডেস্ক: কালী দি-র হোটেল এখন সমাজ মাধ্যমে জোরদার টক্কর দিচ্ছে নন্দিনী দির হোটেলকে। বনগাঁর কালী দির হোটেলের ৯০ টাকার মটন ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে সবার মধ্যে। বনগাঁ ও তার আশপাশের এলাকা তো বটেই, কলকাতা থেকেও বহু লোক গিয়ে ভিড় করছেন কালী দি-র হোটেলে। কালী দিরা দুই বোন। দুই বোন মিলেই চালিয়ে আসছেন এই হোটেল।

এই হোটেলে রান্না হয় কাঠের চুলায়। মাছ-মাংস-ডিম থেকে সবজির বিভিন্ন পদ পাওয়া যায় এই হোটেলে। ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’ সম্প্রতি গিয়ে উপস্থিত হয়েছিল কালী দি-র বাড়িতে। এই হোটেল কীভাবে পথ চলা শুরু করল, সেইসব কথা কালী দি ভাগ করে নিলেন বিশ্বনাথ বসুর সাথে। কালী দি বলেন, স্বামীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য আসা বনগাঁতে। এখানে বাপের বাড়ি কালী দির। নার্ভের সমস্যা রয়েছে স্বামীর।

আরোও পড়ুন : এবার কী একট্রেনেই হবে কলকাতা-গ্যাংটক সফর? ট্রেন চলবে সিকিমের এই পর্যন্ত, বড় ঘোষণা রেলের

তাই তাঁকে ধরতে হয় সংসারের হাল। যখন স্বামীর অসুস্থতা ধরা পড়ে তখন কালী দি তিন কন্যা সন্তানের মা। তাই সন্তানদের জন্য দোকানের হাল ধরতে বাধ্য হন তিনি। জল ভরা চোখে কালী দি বলেন, সেভাবে তিনি সংসারের কাজ করতেন না। যদি শ্বশুরবাড়িতে রুটি খেতে ইচ্ছা করত তাহলে তা তৈরি করে দিতেন জা। তবে প্রথম যেদিন দোকানে আসেন সেদিনই ১০ কেজি আটার রুটি তৈরি করতে হয়েছিল তাঁকে।

untitled design 20240307 114953 0000

এই হোটেল শুরু করার আগে কালী দি পাড়ার লোকের বিভিন্ন টুকটাক কাজ করে দিতেন। সেখান থেকে খুব সামান্য আয় হত। তবে সেই আয় দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব নয়। এরপর এই হোটেলের দৌলতে আজ সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা। নিজের জীবন সংগ্রামের কথা কালী দি তুলে ধরেছেন জি বাংলার  ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’ অনুষ্ঠানে। কালী দির জীবন সংগ্রামের কথা শুনে বিশ্বনাথও তাঁকে কুর্নিশ জানান।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর