পাশ না করালে আত্মহত্যা করব! যশোর রোড আটকে প্রতিবাদ উচ্চমাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণদের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : যাকে বলে, এক্কেবারে ‘মরণপণ সংগ্রাম’। সৌজন্যে বাংলার বেশ কিছু বিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরেই দিকে দিকে নানা গোলমাল শুরু হয়েছে পাশ না করতে পারা পরীক্ষার্থীদের মধ্যেই। এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্যরা বসে পড়ল রাস্তায়। যশোর রোড অবরোধ করে তারা। এমনকি তারা হুমকিও দেয় যে, সকলকে পাশ না করালে শুরু হবে অনশন। এমনকি আত্মহত্যার পর্যন্ত হুমকিও দিল পাশ করানোর দাবিতেই।

জানা যাচ্ছে, উত্তর ২৪ পরগনার কুমুদিনী স্কুলের ২৭৯ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল এ বছর। ৩৭ জন পরীক্ষার্থী ইংরেজি ও অন্যান্য বিষয়ে ফেল করেছে। তাই আজ তারাই সকাল থেকে বনগাঁর ওই বিদ্যালয়ের সামনেই যশোর রোডের উপর পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে। তাদের দাবি, শিক্ষাবর্ষের মাঝেই পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন করা হয়েছে বিভিন্ন সময়। কখনও অনলাইন, কখনও বা অফলাইনে পরীক্ষা দিতে হবে বলে বিভ্রান্ত করা হয় তাদের। এসবের মধ্যেই তাদের দিতে হয়েছে পরীক্ষা। তাই ফেলের সংখ্যা এত বেশি। সকলেই এক বিষয়ে ফেল করতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত পাশ করিয়ে না দেওয়া হয়, ‘আন্দোলন’ চালিয়ে যাবে বলেও জানায় তারা। অঙ্কিতা পাল নামে এক ছাত্রীর কথায়, ‘সিলেবাস বার বার পাল্টাছে। অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল, অফলাইনে তা দিতে হয়েছে। সকলেই এক বিষয়ে ফেল করতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের পাশ করিয়ে না দেওয়া হয়, আমরা আন্দোলন করব। এ রাস্তা থেকে উঠব না।’

শুধু কুমুদীনি স্কুলই নয়, এদিন প্রায় একই কাণ্ড ঘটিয়েছে বারাসাত প্রিয়নাথ গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রীরাও। তাদের মোট ৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪০ জন পরীক্ষার্থীকেই অনুর্ত্তীণ দেখাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক সংসদের ওয়েবসাইট। অভিযোগ, এই ৪০ জনকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো হয়েছে। তাদের অভিযোগ, এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে, তারাও কোন রকমও সাহায্য করছেনা। এর প্রতিবাদেই আজ ছাত্রীরা বিক্ষোভ করে যশোর রোডে।

রাস্তা অবরোধ করে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পরে অবশেষে কোনও রকম সদুত্তর না পাওয়া গেলে তারা পায়ে হেঁটেই বিকাশ ভবন যাবে বলে মিছিল করে যশোর রোড ধরে হাঁটাও শুরু করে। প্রীতিকা দে নামে বনগাঁ কুমুদিনী স্কুলের এক ছাত্রী বলে, ‘স্কুল থেকে আমাদের সকলকে অকৃতকার্য দেখিয়েছে। কিন্তু, আমরা এমন পরীক্ষা দিইনি যে ফেল করব। আমরা কী করে সবাই একটি বিষয়ে ফেল করলাম? এত জন একসঙ্গে কী করে অকৃতকার্য হয়? আমরা কিছুতেই মানতে পারছি না এটা। আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের পাশ করিয়ে দিতেই হবে। তা না হলে এখানেই অনশনে বসব, নয়তো আত্মহত্যা করব।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর