বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোট প্রচারে বেরিয়ে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, রামকৃষ্ণ মিশন নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করে রাজ্যজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সরাসরি বহরমপুরের ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজের (Kartik Maharaj) নাম নিয়ে তাঁকে নিশানা করেছিলেন মমতা। ‘ডাইরেক্ট পলিটিক্স’ করে দেশ ‘শেষ’ করে দেওয়ার অভিযোগও এনেছিলেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামলেন সাধু সন্ন্যাসীরা।
শনিবার রাজ্যে ষষ্ট দফার নির্বাচন। ঠিক তার আগেই দিন প্রতিবাদে নামলেন বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজ (Bangiya Sanyasi Samaj)। আজ উত্তর কলকাতার বাগবাজার ও কাকদ্বীপের বাসন্তি ময়দানে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সাধু সন্ন্যাসীরা। তাঁরা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে কারণে সনাতন ধর্মের লোকজন কষ্ট পেয়েছেন। অবিলম্বে ওনার ক্ষমা চাওয়া উচিত’।
গত শনিবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মমতা বলেন, ‘ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার তালিকায় ওনারা অনেকদিন ধরে রয়েছে। তবে বহরমপুরে একজন মহারাজ রয়েছেন। আমি অনেকদিন ধরে শুনেছি … কার্তিক মহারাজ। তিনি ওখানে বলেছেন, আমি তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেব না। যে লোকটা এমন কথা বলেন, আমি ওনাকে সাধু বলে মনে করি না। কারণ উনি ডাইরেক্ট পলিটিক্স করে দেশের সর্বনাশ করছেন’।
আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টে ঝুলছে চাকরি! এর মাঝেই ‘বিরাট কাণ্ড’ ঘটালেন SSC চাকরিপ্রার্থীরা
তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্য থেকেই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। এরপরের দিন বিষ্ণুপুরের সভায় দাঁড়িয়ে মমতা অবশ্য বলেছিলেন, ‘আমি ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ কিংবা রামকৃষ্ণ মিশনের বিরোধী নই। আমি নির্দিষ্ট করে দুই একজনের কথা বলেছি। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন কার্তিক মহারাজ’।
কেন কার্তিক মহারাজের নাম নিয়েছেন সেটাও জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘রেজিনগরে যেখানে দাঙ্গা হয়েছিল, ওখানেই ওনার আশ্রম। ওখানে কয়েকজন ছানার ব্যবসায়ীকে উনি খেপিয়েছিলেন। আমিও খবর রাখি। এলাকায় এলাকায় গিয়ে আপনি বিজেপি করে বেড়ান। আমি বলি, আপনি বিজেপি করুন। বুকে ব্যাচ লাগিয়ে করুন, লুকিয়ে কেন?’ এই নিয়ে ইতিমধ্যেই মমতাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন কার্তিক মহারাজ। এবার পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাল বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজ।