বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুরুর আগেই শেষ! নানান টাল-বাহানার পর অবশেষে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলা আবাস যোজনা (Awas Yojana) উপভোক্তাদের রেজিস্ট্রেশন এবং আধার-ভিত্তিক যাচইকরণ। কিন্তু কোথায় কি? ঠিক শুরুর দিনেই অকেজো হয়ে পড়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের নির্দিষ্ট পোর্টাল। এই যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই আবার আটকে গেল বাংলার আবাস যোজনা (Awas Yojana) সংক্রান্ত কাজ।
বন্ধ বাংলার আবাস প্রকল্পে (Awas Yojana) যাচাইয়ের কাজ
সোমবারের মতো একই অবস্থা ছিল মঙ্গলবারেও। এই ভাবেই লাগাতার দু’দিন ধরে হুগলি জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত গুলিতে উপভোক্তাদের ডাকা হলেও তাঁদের পোর্টাল অকেজো হয়ে পড়ায় কোনো রকম রেজিস্ট্রেশন এবং আধার-ভিত্তিক যাচাইকরণ ছাড়াই বাড়ি ফিরে যেতে হয় সবাইকে। যার ফলে আবাস প্রকল্পে আবেদন কারীদের একাংশের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় কর্মী এবং আধিকারিকদের।
যদিও সবাইকে আশ্বস্ত করে রাজ্যস্তর থেকে জানানো হয়েছ, আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর থেকেই আবার এই পোর্টাল ‘আপগ্রেড’ করে সক্রিয় দেওয়া হবে। তবে এই পোর্টালের ‘গেরোয়’ এবার সার্বিক ভাবে ধাক্কা খেল বাংলার আবাস প্রকল্পের (Awas Yojana) কাজ। এরফলে একই প্রকল্পের কাজ কিছুটা হলেও পিছিয়ে যাবে বলেই জানিয়েছেন বিডিওরাও।
তবে এই প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত হুগলি জেলা পরিষদের এক আধিকারিক এপ্রসঙ্গে বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবারের মধ্যেই যদি পোর্টাল চালু হয়ে যায়, তাহলে আমরাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারব। তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ব্লকগুলিকে।’
এছাড়া এদিন তিনি জানিয়েছেন সরকারি নিয়ম মেনে, ১২ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই আবাস প্রকল্পের যোগ্য উপভোক্তাদের রেজিস্ট্রেশন এবং আধার-ভিত্তিক তথ্য যাচাইকরণের কাজ সম্পন্ন করে ফেলতে হবে। তারপরেই কথা মতো আগামী ১৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের প্রথম কিস্তির টাকাও ছাড়া হবে।
আরও পড়ুন: এবার হবে ডবল চেকিং! লক্ষ্মীর ভান্ডার-কন্যাশ্রীর টাকা দেওয়ার নিয়ম বদলালো নবান্ন
প্রসঙ্গত সরকারি প্রকল্পে বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা তথা বঞ্চনার অভিযোগে একাধিকবার সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। দীর্ঘ ২ বছর ধরে এই আবাস প্রকল্পেও বাংলার জন্য বরাদ্দ আটকে রেখেছে কেন্দ্র। তাই শেষমেশ নিজস্ব কোষাগার থেকেই বাংলার মানুষের জন্য ‘বাংলার আবাস প্রকল্প’-এ পাকা বাড়ি তৈরী করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা। সেইমতো এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।
নবান্ন থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই বাংলা আবাসে সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে ২৭ নভেম্বর। ওই দিন থেকেই ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতে ‘যোগ্য’ ও ‘অযোগ্য’দের তালিকা টাঙানো হয়। এরপর সেই তালিকায় আরও কোনো যোগ্য প্রার্থী বাদ গেল কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য ৪-৫ ডিসেম্বর গ্রামসভা ডেকে প্রকৃত যোগ্যদের অনুমোদন করা হয়েছে। সবশেষে ৯ ডিসেম্বর ব্লকস্তরের মোট চার জনের কমিটি গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখে তা অনুমোদন করে। আর আজ , বুধবার জেলাস্তর থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার কথা।