বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জোর কদমে চলছে বাংলার বাড়ি (Bangla Awas Yojana) তৈরির কাজ। প্রথম কিস্তির টাকা আগেই পৌঁছে গিয়েছে উপভোক্তাদের কাছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ দেওয়াও শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে এ বার আবাসের টাকা ফেরানোর নির্দেশ ঘিরে হৈচৈ তেহট্টে।
বাড়ি না বানানোয় কড়া ব্যবস্থা প্রশাসনের | Bangla Awas Yojana
জানা গিয়েছে, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়েও ঘর না করার অভিযোগে ১৭ জন উপভোক্তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে আটজন ঘরের জন্য যে টাকা সরকার দিয়েছিল তা জমা দিয়েছেন তেহট্ট-১ ব্লক ব্লক প্রশাসনকে। তবে বাকি নয়জন এখনও টাকা ফেরত দেননি। তাই তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হল বড় পদক্ষেপ।
সূত্রের খবর, ওই ৯ জন উপভোক্তার বিরুদ্ধে বিডিও থানায় সাধারণ অভিযোগ করেছেন। এরপরও যদি তারা টাকা ফেরত না দেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, তেহট্ট-১ ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রথম পর্যায়ে ১৯২৬ জন বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছেন। প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ডিসেম্বরেই মিলেছে।
সম্প্রতি দেওয়া শুরু হয়েছে দ্বিতীয় কিস্তির টাকাও। ঘর শুরুর ছবি ও সরেজমিনে তদন্তের পর দ্বিতীয় কিস্তির ৫০ হাজার টাকা মে মাসে পেয়ে গিয়েছেন উপভোক্তারা। তবে দেখা যায় প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার তিন মাসের মধ্যেও সেখানকার ৫৯ জন উপভোক্তা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেননি। এরপরই তাদের সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাড়ির কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রশাসনের দেওয়া সময়ের মধ্যে বাকিরা কাজ শুরু করে দিলেও ১৭ জন সেই নির্দেশের পরেও বাড়ি তৈরি করেননি। এই ১৭ জন কেবল প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছিলেন। প্রশাসন ওই ১৭ জন উপভোক্তার হদিশ পেলে তাদের সাতদিনের মধ্যে বাড়ি তৈরি করার কাজ শুরু করার সময় দেওয়া হয়। কিন্তু কেউই সাতদিনের মধ্যে সেই নির্দেশ মানেননি।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/gqYXHOVWvQQ?si=FPRooNSUQAXseRl3
এরপর সেই উপভোক্তাদের সকলকে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় ব্লক প্রশাসন। এরপর ৮ জন টাকা ফেরত দিলেও বাকি নয়জন টাকা ফেরত দেয়নি। সেই নয়জনের বিরুদ্ধেই বিডিও থানায় জেনারেল ডায়েরি করেছেন। পরবর্তীতে আরও কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।