বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল বামেদের যুব সংগঠনের তরফ থেকে নবান্ন অভিযান করা হয়েছিল। কর্মসংস্থান, শিল্প, স্কুল খোলা সমেত নানান দাবি-দাওয়া নিয়ে বামেরা নবান্নের দিকে কুচ করে। যুব বাম কর্মীদের নবান্ন যাওয়া থেকে আটকানোর জন্য চারিদিকে বিশাল নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। বামেদের ঠেকাতে পুলিশ জলকামান থেকে শুরু করে লাঠিচার্জও করে। পুলিশের লাঠিচার্জে অনেক যুব বাম কর্মী আহত হয়।
বাম কর্মীরা আহত হওয়ার পর রায়গঞ্জের প্রাক্তন বাম সাংসদ মহম্মদ সেলিম রাজ্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি করেন। আর বাম কর্মীদের উপর হওয়া লাঠিচার্জের প্রতিবাদে আজ ১২ ঘণ্টার জন্য বাংলা বন্ধের ডাক দেওয়া হয়। আজ বামেদের এই ধর্মঘটে আংশিক প্রভাব দেখা গিয়েছে। তবে আসানসোলের বেশ কিছু জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়ে বলে জানা গিয়েছে।
আসানসোলে ধর্মঘটীরা ধর্মঘট পালন না করায় পথচারী আর আরোহীদের মারধর করেছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি মারধর করার ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, বাম কর্মী-সমর্থকরা একজন বাইক আরোহীকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে বেধড়ক চড় থাপ্পড় মারছে। এমনকি বাইক চালকের হেলমেট খুলেও তাঁকে মারধরের চেষ্টা করা হচ্ছে।
https://www.youtube.com/watch?v=IjpqX_gPcvE
উগ্র বাম কর্মী-সমর্থকদের থেকে কোনওমতে নিজেদের উদ্ধার করে পালিয়ে যায় ওই বাইক চালক। যদিও তাতেও ছারেনি ধর্মঘটীরা। বাইক চালকের পিছনে অনেকখানি ধাওয়া করতে দেখা যায় ধর্মঘটীদের। একজন ধর্মঘটী অনেক খানি ধাওয়া করতে করতে বাইক চালককে ধরতে না পেরে শেষে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, উগ্র ধর্মঘটীদের হাত থেকে কোনোভাবে ওই বাইক চালককে রক্ষা করে ধর্মঘটীদের একাংশ। ধর্মঘটীরা জানিয়েছে, মহিলাদের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করেছিল ওই বাইক আরোহী। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। আরেকদিকে, বাইক আরোহী জানিয়েছেন, তিনি নিজের বয়স্ক বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন ডাক্তার দেখাতে। রাস্তায় বামেরা তাঁদের গাড়ি আটকে তাঁকে আর তাঁর বাবাকে মারধর কএ।
বাইক আরোহী জানান, আমার বয়স্ক বাবা ওদের মারধর বন্ধ করার আবেদন করার পরেও ওড়া থামছিল না। পরে ধর্মঘটীদের একাংশ তাঁদের সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করেন।