বাংলাহান্ট ডেস্ক : রংয়ের উৎসব হোলির প্রাক্কালে গত ১২ মার্চ আশিয়ানা হ্যাপি হোমের শতাধিক শিশুর বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার আয়োজন করে টিম বাংলাহান্ট (Bangla Hunt)। ১৫ জন বিশিষ্ট চিকিৎসকদের একটি দল তৎপরতার সাথে ২১০ জন শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এদিন। বিশেষ এই স্বাস্থ্য শিবিরে সম্পন্ন হয় চোখ, দাঁতসহ একাধিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
অনাথ শিশুদের জন্য বাংলাহান্টের (Bangla Hunt) বিশেষ উদ্যোগ
হোলির সময় আয়োজিত মেডিকেল ক্যাম্পে (Medical Camp) বাংলাহান্টের (Bangla Hunt) কর্ণধার উদয়ন বিশ্বাস বলেন, “এই শিশুদের যাবতীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার দায়িত্ব আমাদের (টিম বাংলাহান্ট)।” এবার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতেই টিম বাংলাহান্ট (Bangla Hunt) বেশ কয়েকজন শিশুকে নিয়ে পৌঁছে গেল সল্টলেকের ড. আগরওয়াল’স আই হসপিটালে। তবে এবার উদয়ন বিশ্বাস সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারলেও দিল্লি থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন : শান্তিপ্রসাদের জামিনের বিরোধিতা কেন? সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে CBI
গত ১২ মার্চের মেডিকেল ক্যাম্পে (Medical Camp) চক্ষু পরীক্ষা (Eye Examination) করা হয় প্রায় ২১০ জন শিশুর। মেডিকেল টেস্টে তাদের মধ্যে প্রায় ১২ জনের ধরা পড়ে চোখ সংক্রান্ত কিছু সমস্যা। সেই ১২ জন শিশুর চোখের উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে টিম বাংলাহান্ট ড. আগরওয়াল’স আই হসপিটালে পৌঁছে যায় এদিন। ড. আগরওয়াল’স আই হসপিটালের চক্ষু চিকিৎসকরা অত্যন্ত যত্ন সহকারে সেই সব শিশুদের চক্ষু পরীক্ষা করেন।
আরও পড়ুন : অবৈধ অনুপ্রবেশের দিন শেষ! কড়া হুঁশিয়ারি অমিত শাহের, কী জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?
চিকিৎসক নায়ারণ মিত্রের তত্ত্বাবধানেই এদিন অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে চক্ষু পরীক্ষা করা হয় শিশুদের (Children)। চিকিৎসক নারায়ণ মিত্র জানিয়েছেন, টিম বাংলাহান্টের উদ্যোগে গত ১২ মার্চ আশিয়ানা হ্যাপি হোমে (Aashiyana Happy Home) আয়োজন করা হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার। প্রায় ২১০ জন শিশুর চক্ষু পরীক্ষা করে দেখে মেডিকেল টিম। সেখানেই ১২ জন শিশুর চক্ষু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা লক্ষ্য করেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসক নারায়ণ মিত্রর কথায়, “চোখের সমস্যায় ভোগা ১২ জন শিশুর বিশেষভাবে আই চেকিং আজ করা হল সল্টলেকের ড. আগরওয়াল’স আই হসপিটালে। অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা হয় শিশুদের। তাদের মধ্যে ৭ জন শিশুর চোখে সামান্য কিছু জটিলতা ধরা পড়েছে। আগামী মঙ্গলবার এই ৭ জন শিশুকে ফের হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে বিশেষ পরীক্ষার জন্য। যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আমরা উপযুক্ত চিকিৎসার পথে অগ্রসর হতে পারব। প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা করা হবে অস্ত্রোপচারেরও।”