- নেতাজীতে বিভাবতী দেবীর চরিত্রটা পেয়ে কেমন লাগছে ?
বেশ ভালো লাগছে কারন আমাদের সবার প্রিয় নেতাজী আমাদের কাছে হিরো। তাঁর এত একজন কাছের মানুষ হাওয়া মানে অ্যাক্ট করা সেটাতেও ফিল হচ্ছে যেন আমি ওইসময়েই রয়েছি সুভাষ আমাকে মেজো বউদিদি বলে ডাকছে। ওই পরিস্থিতি গুলো যেন সবটাই আমার চোখের সামনে ভাসছে,যেন দেখতে পাচ্ছি ঘটছে তাইজন্যই আমি খুব লাকি যে এই চরিত্রটা করতে পারছি। - বিভাবতী দেবীর চরিত্রটা করার জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়েছে?
প্রস্তুতি তো নিতেই হয়েছে। আমি কৃষ্ণা বসুর সাথে দেখা করতে গেছিলাম।বিভাবতী দেবী উনার শাশুড়ি। উনি আমাকে খুবই সাহায্য করেছেন। উনি আমাকে বিভিন্ন বই সাজেস্ট করেছেন বসু বাড়ি,শরৎ,সুভাষ তারপর শিশির বোস অর্থাৎ কৃষ্ণা বসুর স্বামীর লেখা একটা বই। কৃষ্ণ বসুও অনেক কিছু বলেছিলেন বিভাবতী দেবীর ব্যাপারে। আর বাকিটা চরিত্রটা করতে করতে আরও জানতে পারছি। - ছোট্ট সুভাষের সাথে অফ ক্যামেরা সম্পর্ক কেমন?
খুব ভালো সম্পর্ক,খুব খুনশুটির সম্পর্ক। খুব মিশুকে ছেলে,একটু দুষ্টু বটে এই বয়সে অবশ্য সবাই দুষ্টুই হয় তবে ও অনস্ক্রিন নিজেকে এত সুন্দর ভাবে প্রেজেন্ট করে সেটা আমার খুবই ভালো লাগে।অফস্ক্রিন ওর সাথে আমার মারামারির সম্পর্ক যেই কাট হয়ে যায় আমি ওকে মুখ ভেঙাই ও আমাকে মুখ ভেঙাই। - আপনি তো টেলিভিশন জগতে পা রাখেন ‘টুসু’ চরিত্রটা দিয়ে টুসু থেকে বিভাবতী দেবীর চরিত্রের জার্নিটা কেমন ছিল?
উ:জার্নিটা মজাদার ছিল।প্রথমে টুসুর চরিত্রটা করেছি তারপর পিকুর চরিত্রটা করেছি তারপর কিছুদিন আগে পার্বতী করেছি মহামায়া করেছি, তো চরিত্রের বৈচিত্র মোটামুটি অনেকটাই পেয়েছি আমি। সেই হিসেবে দেখতে গেলে এটা একটা। বারবারই কিন্তু কারন ঘুরে আসা সুভাষের দিকে। - আপনার কখন মনে হল আপনি অভিনয়টা পেশা হিসেবে নেবেন?
যখন আমি স্কুলে পড়তাম তখন থেকেই মায়ের শাড়িটারি পরে অভিনয় করতাম।যেই আসতো বলতাম শ্যুট করে দিতে তারপর সেটা আবার স্ক্রিনে দেখতাম।ছোটো থেকেই ইচ্ছে ছিল অভিনয় করার। - বিভাবতী দেবীর সাথে শ্রীপর্নার কতটা মিল রয়েছে?
অনেকটাই মিল রয়েছে। বিভা স্বাধীনচেতা দেশকে খুব ভালোবাসে। সে এইরকম একজন ছেলেকে তার জীবনসঙ্গী করতে চাই যে তার মত চিন্তাধারা রাখে বা তার থেকেও আরও উন্নত চিন্তাধারা রাখে তাই শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বাধীনতা কেন্দ্রিক হয়ে পড়ে না।বিভাও দেশকে ভালোবাসে, বই পড়তে ভালোবাসে শ্রীপর্নাও বই পড়তে ভালোবাসে। অতটাও মিল নেই তবে মিল রয়েছে। - শরৎবাবুর মানে ধ্রুবজ্যোতির সাথে অফস্ক্রিন কেমিস্ট্রিও কেমন?
অফ ক্যামেরায় খুব ভালো বন্ধু।ভালো বন্ধুত্ব না হলে চরিত্রটার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়। আমি দেখি আমাকে সাহায্য করে খুব।এবং ভীষণ ভালো মানুষও। সেই হিসেবে বলতে গেলে ভালো সম্পর্ক। - আপনার কি মনে হয় বর্তমান সমাজে মেয়েদের বিভার মত স্বাধীন হওয়া দরকার?
আমার মনে হয় মনের দিক থেকে মেয়েরা পুরুষদের থেকেও বেশি স্বাধীন। অনেক কাজে মহিলারা কিন্তু এগিয়ে রয়েছেন। আমি যদি আগের কথা বলি তাহলে মাতঙ্গিনী হাজরা,ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ এরকম বহু মহিলারা ছিলেন। সে ক্ষেত্রে এখন অনেকটাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ বলে মনে হয়। পুরুষরা মনে করেন মহিলাদের ছেড়ে দিলে হয়তো পুরুষরা পেছনে পড়ে যেতে পারে তাই হয়তো একটু দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়।আমার মনে হয় মহিলাদের এগিয়ে দিলে দেশ আরো অনেক বেশি উন্নত হয়ে যাবে। - শোনা গিয়েছিল আপনি নাকি বিবাহিত?
আসলে আগে শ্যুটিং থেকেই এখানে ওখানে যেতাম সিঁদুর তোলারও সময় পেতাম না। এখন তো তবু ঠিকঠাক করে যায়। তাই সবাই ধরে নিয়েছে আমি বিবাহিত। - ব্যক্তিগত জীবনে শরৎবাবুকে খুঁজে পেয়েছেন?
(হেসে)না ব্যক্তিগত জীবনে শরৎবাবুর খোঁজ পাইনি আমি এখনো ডাক্তার খুঁজে যাচ্ছি। - আপনি কি ফ্রি ট্রিটমেন্ট এর জন্য ডাক্তার খুঁজছেন?
(হেসে) না না আমার আসলে ডাক্তার হওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু এ জন্মে তো আর ডাক্তার হতে পারব না,কিন্তু বিয়ে করে ডাক্তারের বউ তো হতে পারি। - আপনিতো জার্নালিজম নিয়ে পড়াশোনা করেছেন,জার্নালিজম নিয়ে এগোনোর ইচ্ছে হয়নি?
খুব ইচ্ছে হয়েছিল।আসলে তখন অডিশন দিয়েছিলাম চান্স পেয়ে গিয়েছিলাম। আসলে আমি ছোট থেকে অভিনয় তো ভীষণ ভালবাসতাম। আমি তো মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজে পড়তাম। আর আমার ভীষণ অ্যাঙ্কর হওয়ার ইচ্ছে ছিল।এবং এটা আমি কলেজের প্রথম দিন যখন স্যার জিজ্ঞেস করেছিলেন কে কি হতে চাই,আমি বলেছিলাম আমি অ্যাঙ্কর ।তারপর থেকে স্যার আমাকে অ্যাঙ্কর বলেই ডাকতেন।
ব্যাক্তিগত জীবনে শরৎবাবুর খোঁজ পাইনি আমি, এখন ডাক্তার খুঁজছি
সম্পর্কিত খবর