বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিপুল লক্ষ্মীলাভ রাজ্যের (West Bengal)। রিপোর্ট বলছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে (Bangla Sahayata Kendra) আর্থিক লেনদেনের ফলে গত একবছরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রাজস্ব ৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের ‘ই-ওয়ালেট’ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৬৯ কোটি টাকা। এদিকে গত বছর প্রায় ৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে সেই ‘ই-ওয়ালেট’ লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৩ কোটি টাকা।
আয় বাড়ছে রাজ্যের-West Bengal
তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে বর্তমানে মোট ৩৫৬১টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালাচ্ছে মমতা সরকার। যার মাধ্যমে রাজ্যের ৪০টি দফতরের ৩০০টিরও অধিক পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, নতুন করে আরও প্রায় ১৫০০ বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চলুর পথে রাজ্য। এর মধ্যে কলকাতা পুরসভা এলাকায় নতুন করে ৩০টি কেন্দ্র হবে।
রাজ্য সরকারের বার্ষিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে বিএসকে-গুলিতে কোনও দালালচক্র সক্রিয় সক্রিয় হতে পারছে না। যার ফলে সাধারণ মানুষের নির্ভরতা বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে সরকারের আয়। বিএসকে গুলির মাধ্যমে জমি-বাড়ির খাজনা, মিউটেশন খরচ, লিজ, বিদ্যুৎ বিল-সহ বিভিন্ন পরিষেবার টাকা মেটানোর কাজ খুব সহজেই করা যাচ্ছে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে আর্থিক পরিষেবা খাতে এই বিএসকে গুলির মাধ্যমে লেনদেন বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। বিএসকের মাধ্যমে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে স্বাস্থ্য খাতে লেনদেন বেড়েছে ৩৯ শতাংশ। একই ভাবে কৃষি খাতে লেনদেন বেড়েছে ২১ শতাংশ। শিক্ষাক্ষেত্রে লেনদেন ৫৪ শতাংশ এবং সামাজিক প্রকল্পের ক্ষেত্রে লেনদেন ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন:ফের ‘হাওয়া বদল’! একধাক্কায় ২ ডিগ্রি বাড়ল তাপমাত্রা! সংক্রান্তিতে কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া?
এই লেনদেনের দিক দিয়ে সব থেকে এগিয়ে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুর। কম দূরত্বে বাড়ির সামনে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি থাকায় সাধারণ মানুষ কম সময়ে যেমন কাজ মেটাতে পারছেন তেমনি যাতায়াতের খরচও বেঁচে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে রাজ্যের (West Bengal) ১.৩৯ কোটি মানুষও কোনও না কোনও পরিষেবা নিয়েছেন।