বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুজোর পরেই ধেয়ে এসেছে দানা। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও ততটা হয়নি। তবে এর ফলে চাষের জমি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে ফাঁপরে পড়েছেন রাজ্যের বহু কৃষক। এবার তাঁদের মুখ চেয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে (Government Scheme) আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করা হল।
কৃষকদের কথা ভেবে এই প্রকল্প (Government Scheme) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মমতার!
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামরার মাঝে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় দানা। যার জেরে শুক্রবার গোটা দিন বাংলার একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বর্ষণ হয়েছে। সেদিনই আবার নবান্নে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে বাংলা শস্য বিমায় আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলা শস্য বিমায় (Bangla Shasya Bima) আবেদনের শেষ তারিখ প্রথমে ৩০ সেপ্টেম্বর ছিল। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর করা হয়। এবার তা আরও একমাস বাড়িয়ে দেওয়া হল। ৩১ অক্টোবরের পরিবর্তে এবার ৩০ নভেম্বর অবধি সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর অতীত! এবার শিরোনামে এই মেডিক্যাল কলেজের দুর্নীতি! বড় কাণ্ড ফাঁস?
গতকাল মমতা জানান, যে সকল এলাকায় চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানকার কৃষকরা বাংলা শস্য বিমার সুবিধা পাবেন। ৪৮ ঘণ্টা পর থেকে ফিল্ড সার্ভে করে যে যে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তাঁদের তালিকা বানাতে হবে। নির্দিষ্ট এলাকার কৃষি দফতরের প্রধান সচিবের ওপর এই কাজের দায়িত্ব থাকবে।
বন্যা থেকে শুরু করে খরা, আবহাওয়াজনিত নানান কারণে কৃষকদের ফসল খারাপ হয়ে যায়। যে কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় ওই কৃষককে। এমতাবস্থায় তাঁদের ক্ষতি কমাতেই রাজ্য সরকারের একটি প্রকল্প (Government Scheme) হল বাংলা শস্য বিমা। কৃষকদের ফসলের যদি ক্ষতি হয় তাহলে তার সঠিক মূল্য দেওয়া এই স্কিমের উদ্দেশ্য।
বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের দ্বারা প্রথমে ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করা হয়। এরপর কৃষকদের টাকা পাঠানো হয়। এই স্কিমের (Government Scheme) মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড় দানার তাণ্ডবের পর এবার এই প্রকল্পে আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ফলে রাজ্যের বহু কৃষকের সুরাহা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।