বাংলাহান্ট ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে (Bangladesh) ঘটনার ঘনঘটা। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ছে গোটা দেশ। এই আবহেই সেনা অভ্যুত্থানের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল আইএসআই ঘনিষ্ঠ এক সেনা কর্তার বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশের (Bangladesh) সেনাপ্রধানের ‘পিঠে ছুরি’
একাধিক সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ সেনার (Bangladesh Army) অন্দরে বিদ্রোহের বীজ বপনের চেষ্টা করছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সেনাপ্রধানের পদ থেকে হটিয়ে দেশের ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে এই পাক ঘনিষ্ঠ সেনা কর্তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন : ৪ বছর ধরে কোথায় যাচ্ছে সরকারি প্রকল্পের টাকা? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিরাট কান্ড, এবার ফাঁস হল সবটা
গোটা চক্রান্তে ফয়জুর রহমানের সারথী ছিল জামাত-ই-ইসলামি। সূত্রের খবর, বাংলাদেশে (Bangladesh) নজরবন্দি করা হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমানকে। অন্যদিকে, অভ্যুত্থান সংক্রান্ত দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে একটি বিবৃতিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর বা আইএসপিআর স্পষ্ট করেছে বিষয়টি।
আরও পড়ুন : শেখ শাহজাহানের বিলাসবহুল গাড়ি বেচতে তৎপর ED! কারণ জানলে ‘থ’ হয়ে যাবেন
আইএসপিআর জানিয়েছে, ‘সেনাপ্রধানের দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ ও সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।’ বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান। এমনকি জামাতের সাথে তাঁর সখ্যতার বিষয়টিও বহুল আলোচিত সেনা বাহিনীতে।
জানা যাচ্ছে, আইএসআই ঘনিষ্ঠ এই সেনাকর্তা গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশনাল কমান্ডারদের (জিওসি) একটি বৈঠকের জন্য গোপনীয়ভাবে আমন্ত্রণ জানান মার্চের শুরুর দিকে। যদিও গোপন এই বৈঠকের কথা সূত্র মারফত এসে পৌঁছায় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সচিবালয়ের কাছে। তারপরই দ্রুত শীর্ষ আধিকারিকদের সতর্ক করে বার্তা পাঠানো হয় সচিবালয়ের তরফে। শেষমেষ ভেস্তে যায় ফয়জুরের পরিকল্পনা।
সূত্রের খবর, বড় কিছু করার পরিকল্পনায় গত কয়েক মাস ধরে সচেষ্ট হয়ে উঠেছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান। এমনকি জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে লেফটেন্যান্ট জেনারেল একাধিক বৈঠকও করেন পাকিস্তানের কূটনীতিক ও জামাত নেতাদের সাথে। সেনা প্রধানের কানে এই সংক্রান্ত তথ্য আসার পরই বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের তরফে ফয়জুরের উপর শুরু হয় নজরদারি।