বাংলাহান্ট ডেস্ক : শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। আশা ছিল এবার শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে প্রতিবেশী দেশে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে ঘটল উলটোটা। নতুন ‘স্বাধীন’ বাংলাদেশে পরাধীন হয়ে রয়েছে ওই দেশেরই সংখ্যালঘু নাগরিকরা (India)। হাসিনার পলায়নের পরেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মন্দিরে আক্রমণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। মাঝে তা একটু কমলেও বাংলাদেশ এখন কার্যত আতঙ্কের দেশ হয়ে উঠেছে হিন্দু সহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কাছে।
ইউনূসের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন ভারতে (India)
বর্তমানে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর বাংলাদেশে কট্টরপন্থীদের নিশানায় উঠে এসেছে ইসকন। বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া, দোকান, মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা সামনে আসছে। রেহাই পাচ্ছে না অবলা প্রাণীরাও। তাদের উপরেও অত্যাচারের ভিডিও সামনে উঠে আসছে। উপরন্তু সেখানে ভারতের (India) পতাকার অবমাননার ঘটনায় বিক্ষোভের আগুন আকাশ ছুঁয়েছে। বাংলাদেশে এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ভারত (India) তথা বাংলায় তীব্র প্রতিবাদ শোনা যাচ্ছে।
হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ জমায়েত: এবার কলকাতা হাইকোর্টের সামনে জমায়েত করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল অখিল ভারত (India) হিন্দু মহাসভার সদস্যরা। বাংলাদেশের পণ্য বর্জন করে ইউনূসের দেশকে বয়কটের ডাক দেওয়া হল। এমনকি আন্তর্জাতিক আদালতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সদস্যদের তরফে।
আরো পড়ুন : ভারতের সঙ্গে এঁটে উঠতে শেষমেশ পাকিস্তান-চিনের সাথে সন্ধি! তলে তলে বিরাট ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের
বাংলাদেশকে বয়কটের ডাক: সংগঠনের সদস্যদের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লিফলেট বিলি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। কিন্তু ভারতের (India) জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করে তারা সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে। এর প্রতিবাদে ভারতে চিকিৎসা করতে আসা সমস্ত বাংলাদেশিদের সাময়িক ভাবে বয়কটের ডাক দিয়েছে অখিল ভারতীয় (India) হিন্দু মহাসভা। তাদের যেন কোনও হোটেলে ঘর না দেওয়া হয়, কোনো হোটেলে খাবার না দেওয়া হয়, এমনকি কোনো কিছু যেন বিক্রিও না করা হয় তাদের।
আরো পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উত্তরীয় বদল, তারপরেই ইনস্টায় দেবকে আনফলো রুক্মিণীর! হলটা কী?
চিকিৎসা করাতে আসা সমস্ত বাংলাদেশীরা অপরাধী নন, সেকথা স্পষ্ট করে দিয়েই সংগঠনের সদস্যদের সোজা বার্তা, যতক্ষণ না মহম্মদ ইউনূস ভারতের (India) পতাকা মাথায় তুলে সরকারি ভাবে ক্ষমা না চাইবে ততক্ষণ চলবে এই সামাজিক বয়কট। কিছুদিন আগেই ভারতের শাড়ি পুড়িয়ে প্রতিবাদের দৃশ্য দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশে। এদিন ভারতে (India) বিক্রি হওয়া বাংলাদেশী পণ্য মাটিতে ফেলে জানানো হল প্রতিবাদ। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি মতো বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।