বাংলাহান্ট ডেস্ক : এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। গ্রেফতারের পর বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে তৃণমূল। চাপ আরও চাপ বেড়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukhopaddhay) গ্রেফতারের খবরে। তার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ২২ কোটির বেশি নগদ টাকা। ইডির দাবি ওই টাকা নেওয়া হয়েছিল চাকরি দেওয়ার নাম করেই। এরপর আরও বড়সড় আশঙ্কা করছে ইডি (ED)।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আশঙ্কা, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির টাকা গিয়েছে বাংলাদেশেও। হাওয়ালার মাধ্যমে বিপুল টাকা সীমান্ত পার করা হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। সেই সংস্থাকেও নোটিশ পাঠাচ্ছে ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় আর্থিক দুর্নীতি তদন্ত সংস্থার নজরে রয়েছে একটি টেক্সটাইল কোম্পানি। ওই কোম্পানি হাওয়ালার মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে এসএসসি দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ টাকা। ওই কোম্পানির যারা ডাইরেক্টর তাদের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। ইডির অনুমান অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ২২ কোটি টাকার বাইরেও লেনদেনের পরিমান অনেকটাই বেশি। এখন প্রশ্ন হলো সেই বিপুল পরিমাণ টাকা গেল কোথায়? সেটাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ওই কোম্পানির ডিরেক্টরদের কাছেও জানতে চাওয়া হবে।
এক টানা ২৭ ঘণ্টা জেরার পর শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার সকালেই গ্রেফতার করা হয়েছে পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। পার্থর বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ, এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে ইন্ধন দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে একটি কমিটি তার সহযোগীদের সঙ্গে মিলে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেয়।
অপরদিকে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছে ওই বিপুল টাকা, গহনা, বিদেশি মূদ্রা এল কোথা থেকে? ইডির অনুমান ওই টাকা হল এসএসসিতে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নেওয়া টাকা। ওই বিপুল টাকা আপাতত রাখতে বলা হয়েছিল অর্পিতাকে। কাদের মাধ্যমে ওই টাকা অর্পিতার কাছে এসেছিল, সেটাই এখন তদন্ত কর দেখছে ইডি। তবে ইডি জানাচ্ছে ওই ২২ লাখ টাকা একটি হিমশৈল্যের চূড়া মাত্র, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।