বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ সাত মাস ধরে কলেজছাত্রীকে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন। তার ভিডিও করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। এবার সেই অভিযোগকারিনীকেই বিয়ে করার নির্দেশ নোবেলকে (Noble)। বাংলাদেশের আদালত সম্প্রতি এমনই নির্দেশ দিয়েছে গায়ক মইনুল আহসান নোবেলকে। আদালতের ওই নির্দেশের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
যৌন হেনস্থার অভিযোগ নোবেলকে (Noble)
এক মহিলাকে অপহরণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগে নোবেলকে গ্রেফতার করে ডেমরা থানার পুলিশ। অভিযোগ, গত নভেম্বর মাসে ওই মহিলাকে নিজের স্টুডিও দেখানোর নাম করে নিজের বাড়িতে ডাকেন নোবেল (Noble)। কিন্তু রাত আটটা নাগাদ মহিলা বেরিয়ে যেতে চাইলে তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন তিনি। তারপর তাঁকে ধর্ষণ করে ভিডিও রেকর্ড করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
সংশোধনাগারে রয়েছেন নোবেল: সাত মাস ওই মহিলাকে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে নোবেলের (Noble) বিরুদ্ধে। পরে নির্যাতিতার বাবা মা গিয়ে উদ্ধার করে তাঁদের মেয়েকে। ১৯ শে মে নারী এবং শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয় নোবেলের বিরুদ্ধে। ২০ শে মে থেকে সংশোধনাগারে রয়েছেন গায়ক। উল্লেখ্য, গ্রেফতার হওয়ার পরেই নির্যাতিতাকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার কোনো প্রমাণ নোবেল (Noble) দেখাতে পারেননি।
আরো পড়ুন : ঘরের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ বাংলার এই স্কুলে, সংস্কারের জন্য বরাদ্দ ২০ লক্ষ টাকা হাপিস! মাথায় হাত কর্তৃপক্ষের
কী জানাল পুলিশ: ডেমরা থানার তরফে আদালতকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল নোবেলের (Noble)। সে সময় ঢাকার একটি কলেজে পড়তেন ওই মহিলা। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে অভিযোগকারিনীকে বিয়ের নির্দেশ দেওয়া হয় নোবেলকে।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আখতার অভিযোগকারিনীকে বিয়ে করার নির্দেশ দেন নোবেলকে। গায়কের পক্ষ থেকেই নাকি লিখিতভাবে অভিযোগকারিনীকে বিয়ে করার অনুমতি চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের সম্মতি মিলতে বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।