বাংলাহান্ট ডেস্ক : যত দিন যাচ্ছে ততই অবস্থা খারাপ হচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh)। মহম্মদ ইউনূস (Mohammad Yunus) মসনদে বসার পর থেকেই চরম অরাজকতা নেমে এসেছে বাংলাদেশে। আর সেটাই ভারতের জন্য লক্ষ্মীলাভের কারণ হতে চলেছে। বস্ত্রশিল্পের ক্ষেত্রে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে কর্ণাটক! জানা গিয়েছে, দাক্ষিণাত্যের এই রাজ্যেই তৈরি হবে ‘জিনস পার্ক’।
বস্ত্রশিল্পে বাংলাদেশের (Bangladesh) বেহাল দশা
ফলে দেশের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বিদেশি লগ্নিও বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি কর্ণাটকের (Karnataka) বৃহৎ-মাঝারি শিল্প ও পরিকাঠামো উন্নয়ন মন্ত্রী এম বি পাটিলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, বল্লারির কাছে সঞ্জিরায়ণকোটে ‘জিনস পার্ক’ তৈরি করবে কর্ণাটক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়াস ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (KIADB)। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার, বল্লারি হচ্ছে ভারতের অন্যতম ‘জিনস হাব’।
এখানে পাঁচশোর বেশি কারখানা রয়েছে। এই কারখানাগুলিতে এখন কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিক। বলা বাহুল্য, এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বমঞ্চে নতুন করে আত্মপ্রকাশ করবে বল্লারির ‘জিনস পার্ক’। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মসলিনের খ্যাতি জগৎজোড়া। পাশাপাশি, ওপার বাংলায় জিন্সের চাহিদাও তুঙ্গে। বিদেশের বহু ব্যবসায়ীরাই লগ্নি করেন বাংলাদেশের বস্ত্র কারখানাগুলোতে।
আরোও পড়ুন : যে কোনো সময় যেতে পারে চাকরি! আদালতের নির্দেশে রাতের ঘুম উড়লো শিক্ষকদের!
কিন্তু বর্তমানে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে ব্যবসায়ীরা যেমন খুশি দর হাঁকাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, গত বছরের অক্টোবর মাসে বস্ত্র শ্রমিকদের প্রতিবাদে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ঢাকা। সব মিলিয়েই বলা যায়, বস্ত্রশিল্পে বাংলাদেশের অব্যবস্থাই ভারতের (India) অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠছে।
এম বি পাটিল জানান, “ভারত জড়ো যাত্রার সময় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তা পূরণ করতে এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১৫৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের টালমাটাল পরিস্থিতির জেরে লগ্নিকারী ও ব্যবসায়ীরা বিকল্প পথ খুঁজছেন। আর এর জন্য বল্লারি তাঁদের পছন্দের গন্তব্য হতে চলেছে। জিনস শিল্পে আকর্ষণ বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য।”