বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘আবার আসিব ফিরে, ধানসিঁড়িটির তীরে, এই বাংলায়…,’ বাংলা সাহিত্য জগতে জীবনানন্দ দাশের ‘রূপসী বাংলা’ কবিতার এই লাইনটি চির অমর। বাংলার সৌন্দর্য্যের কৃষ্টির সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে জীবনানন্দের সৃষ্টি। ‘রূপসী বাংলা’ কবিতার অনুপ্রেরণা জোগানো সেই ধানসিঁড়ি নদী এখন কেমন আছে?
ধানসিঁড়ি নদীর (Dhansiri River) এখনকার রূপ
সেই খবর আজ খুব একটা হয়ত রাখেন না বাঙালি পাঠকেরা। বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার ধানসিঁড়ি নদী (Dhansiri River) এখন শুধু বহমান কবিতার বইয়ের পাতার মধ্যেই। দূর-দূরান্ত থেকে ধানসিঁড়ি দেখতে আসা পর্যটকরা আজকাল ফিরে যান শুধুই একবুক হতাশা নিয়ে। একদা প্রমত্তা এই নদী এখন নিয়েছে মৃতপ্রায় খালের চেহারা।
আরোও পড়ুন : বহু পুরুষের রাতের ঘুম উড়িয়েছিলেন, সেই মাধুরীকেই ‘থুতু’ ছেটান আমির! কেন?
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, একের পর এক অবৈধ নির্মাণ আর নদী খনন প্রকল্পে দুর্নীতির কারণে এই অবস্থা ধানসিঁড়ির (Dhansiri River)। নদীর তলদেশে জমেছে পলি। শীতের মরশুমে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়ে আজ মরা খালের রূপ নিয়েছে একদা ‘রূপসী বাংলার’ (Bangladesh) এই খরস্রোতা নদী।
নদীর (River) পাড়ে বসবাসকারী বাসিন্দারা বলছেন, ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ধানসিঁড়ি নদীর জলের প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকার একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। জল উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় কখনো শুরু করা হয়েছে খালখনন কর্মসূচি কখনো বেড়িবাঁধ নির্মাণ কর্মসূচি। তবে সেই প্রকল্পের টাকা লুঠপাট করা হয়েছে। দুর্নীতির কারণেই আজও উন্নয়ন ঘটানো যায়নি এই নদীর।
খবর নিয়ে জানা যায়, ২০১৩ সাল নাগাদ ধানসিঁড়ি নদীর উন্নয়নে ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয় খাল খননের জন্য। খাল খনন ও নদীর দুই পাশের সৌন্দর্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে শুরু করা হয় এই প্রকল্প। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, শুধু খালের দুই পাশ পরিষ্কার করে কাদামাটি খালের পাড়ে রেখে দেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পের টাকায় ভরেছে কিছু ক্ষমতাবানদের পকেট।