বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের হাওয়া গরম বাংলাদেশে (Bangladesh)। শনিবার রাজধানী ঢাকায় রাজপথে নেমে আসে হাজার হাজার শ্রমিক। কারখানা পুনরায় চালু করা, বকেয়া ছুটি, বার্ষিক ছুটি এবং বোনাসের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা। দীর্ঘ দু ঘন্টা ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ রাজপথ অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকরা। এর ফলে বড়সড় সমস্যার মুখে পড়েন স্থানীয় মানুষজন। একাধিক রিপোর্টে প্রকাশ, শ্রমিকদের লাগাতার বিক্ষোভের জেরে অনেক কারখানাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। উপরন্তু বিক্ষোভ চলাকালীন বহু শ্রমিক প্রাণ পর্যন্ত হারিয়েছে। আহতও হয়েছেন অনেকে।
বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজপথ দখল করে প্রতিবাদ শ্রমিকদের
ঢাকা বিভাগের গাজীপুর (Bangladesh) জেলার জায়ান্ট নিট গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ করে। পালটা কর্মকর্তারা কারখানা বন্ধ হওয়ার নোটিশ দিয়ে দেন। জানা যায়, ছুটি এবং বোনাস নিয়ে কারখানার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বার আলোচনা করেও কোনো লাভ হয়নি। রমজান মাস চলছে বর্তমানে। বিক্ষোভরত এক কর্মচারী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ইদ এগিয়ে আসছে। এদিকে তাদের ছুটির টাকা, বোনাসের কোনো নিশ্চয়তা নেই। পরিবারের সঙ্গে বেঁচে থাকার লড়াই করে চলেছেন তারা। কারখানা পুনরায় খুলে বকেয়া টাকা অবিলম্বে পরিশোধের জন্য দাবি জানান তারা।
কী অভিযোগ শ্রমিকদের: চলতি সপ্তাহের শুরুতেই অবশ্য বেতন না দেওয়ার কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বহু শ্রমিক। এর ফলে যানজটের সৃষ্টি হয় ওই জায়গায়। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, তিনশোর বেশি শ্রমিক তাদের বেতন পাননি। কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই বেতন আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
আরো পড়ুন : ফের শুরু হইচই! এবার ঢাকায় সেনা জমায়েতের নির্দেশ, কোন ঝড় আসতে চলেছে বাংলাদেশে?
কম বেতন পাচ্ছেন শ্রমিকরা: বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে গাজীপুরে ১৫ টি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কারখানা বন্ধ হওয়া এবং শ্রমিকদের উপরে হামলার অভিযোগের প্রতিবাদে ঢাকা-টাঙ্গাইল রাজপথ অবরোধ করে। উল্লেখ্য, ২০২৪ এ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, শ্রীলঙ্কা এবং ভুটানের পর দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির মধ্যে সবথেকে কম মজুরি পাওয়া শ্রমিকদের (Bangladesh) তৃতীয় সর্বোচ্চ শতাংশ রয়েছে বাংলাদেশে।
আরো পড়ুন : জমে গেল খেলা! নিজের দেশেই কোণঠাসা ইউনূস, মোদীর সাথে সাক্ষাতের জন্য করছেন মরিয়া চেষ্টা
প্রসঙ্গত, গত বছর মহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারে আসার পর থেকে বকেয়া বেতন না মেলায় এবং কাজের পরিস্থিতিরও অবনতি হওয়ায় দেশজুড়ে বেড়েছে শ্রমিক বিক্ষোভ। শ্রমিক বিক্ষোভের কারণেই অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে।