বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত অবাক করা ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত বুধবার রাতে বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ছদ্মবেশ ধারণ করে দেশত্যাগ করে নাকি থাইল্যান্ডে পৌঁছে গিয়েছেন। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির নামে বর্তমানে মামলা চলছে। এই আবহে তাঁর দেশত্যাগের খবর সামনে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশে। ইতিমধ্যেই বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক সুবিধার জন্য আবদুল হামিদ বিশেষ লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করেন।
ছদ্মবেশে দেশত্যাগ করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি:
এছাড়াও জেনে অবাক হবেন যে, দেশত্যাগের (Bangladesh) সময়ে তিনি বিমানবন্দরে এসেছিলেন ছদ্মবেশে। সেই সময়ে তাঁর পরনে ছিল লুঙ্গি ও গেঞ্জি। এছাড়াও, মুখে ছিল মাস্ক। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আবদুল হামিদের নামে ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি কূটনৈতিক পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছিল। যার মেয়াদ ছিল ১০ বছর। কিন্তু, শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর তাঁর সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট বাতিল করা হলেও আবদুল হামিদের পাসপোর্ট বাতিল হয়নি বলে জানা যায়। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে, বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত জনরোষ এড়ানোর জন্যই বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিমানবন্দরে ছদ্মবেশে গিয়েছিলেন। মূলত, গত বুধবার মাঝরাতে তিনি। বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে লুঙ্গি, গেঞ্জি ও মুখে মাস্ক পরে হাজির হন। তারপরে অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে তাঁকে বিমানবন্দরে প্রবেশ করানোর পর নিরাপত্তা তল্লাশি এড়িয়ে বিমানে তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পাক পরমাণু ঘাঁটিকে নিশানা করতেই খেল খতম! ভারতের কাছে কীভাবে মাথা নত করল পাকিস্তান?
এটাও জানা গিয়েছে যে, বুধবার রাত ৩ টে বেজে ৫ মিনিটের থাই এয়ারওয়েজের এক উড়ানে ব্যাঙ্ককের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন আবদুল হামিদ। এদিকে, সূত্রের খবর অনুযায়ী, আবদুল হামিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ভিআইপি টার্মিনালের কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়েছিল বিমানটিকে। তারপর বিমান ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বিশেষ তাঁকে বিমানবন্দরের ১২ নম্বর আউট-বে এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের দাপটেই কুপোকাত পাকিস্তান! কীভাবে সফল হল “অপারেশন সিঁদুর”, ব্যাখ্যা করল ভারতীয় সেনা
এদিকে, বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ছাড়াও তাঁর পুত্র রিয়াদ আহমেদ এবং শ্যালক ডাক্তার এনএম নওশাদ খান ওই বিমানে তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, আবদুল হামিদের দেশত্যাগে কারা জড়িত সেই বিষয়ে তদন্ত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। এই তদন্তের রিপোর্ট ৩ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে বলেও জানা গিয়েছে।
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও: