বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে পড়শি দেশ বাংলাদেশ (Bangladesh)। শুধু তাই নয়, সেখানে রীতিমতো শুরু হয়েছে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম। এদিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার আবারও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মূলত, গত জুলাই মাসে চাকরিতে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক বিক্ষোভে ২০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে এই বিক্ষোভগুলি সম্পন্ন হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
বড় পদক্ষেপ বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের:
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আইনশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে সারাদেশে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার। এমতাবস্থায়, শুক্রবার হাসিনা সরকার ফের ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে গ্লোবাল আইজের রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার থেকে সারাদেশে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে, এর আগে তুরস্ক একই ধরণের পদক্ষেপ নিয়ে ইনস্টাগ্রাম নিষিদ্ধ করেছিল। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকার দুপুর ১২ টার পর মোবাইলে মেটা প্ল্যাটফর্মের নেটওয়ার্ক সীমিত করে। এদিকে, রিপোর্ট অনুযায়ী আরও জানা গিয়েছে যে, ইন্টারনেটের স্পিডও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে ভিপিএন ব্যবহার করেও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা না যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে (Bangladesh) ইন্টারনেট প্রথমে গত ১৭ জুলাই বন্ধ করা হয়েছিল। এরপর গত ১৮ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ হয়ে যায়। গত ২৮ জুলাই পর্যন্ত মোবাইল নেটওয়ার্কে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
আরও জানুন: এবার সবাইকে টেক্কা দেবে BSNL! শুরু নতুন পরিষেবা, ব্যবহারকারীরা পাবেন এই দুর্দান্ত সুবিধা
ফের শুরু হয় বিক্ষোভ: জানা গিয়েছে যে, ২ হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকে “স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে” এবং “ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার”-এর মতো স্লোগান দিচ্ছিল। সেই সময়ে পুলিশ আধিকারিকরা বিক্ষোভকারীদের চারপাশে বৃত্তাকারে দাঁড়িয়েছিলেন। ঢাকার উত্তরা এলাকায় পুলিশ এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সেই সময়ে নিরাপত্তা আধিকারিকরা পাথর নিক্ষেপকারী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস এবং স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
আরও জানুন: বর্ষীয়ান কেউ নয়, এই তরুণীই নেতৃত্ব দেবেন টাটা গ্রুপকে! চমকে দেবে তাঁর পরিচয়
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গত মাস থেকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখোমুখি হচ্ছে এবং এখনও এই বিক্ষোভগুলি কমার কোনো লক্ষণ নেই। গত ১৫ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ শেখ হাসিনার জন্য একটি বড় সঙ্কটে পরিণত হয়েছে। এদিকে, এই বিক্ষোভ মোকাবিলা করার জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং গুলি করার নির্দেশ দিয়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।