করোনা আতঙ্কে রোহিঙ্গাদের ভাষণ দ্বীপে পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রোহিঙ্গাদের (Rohingya) অনবরত অনুপ্রবেশের জন্য বাংলাদেশ (Bangladesh) সহ দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রমাগত সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একদল রয়েছে বাংলাদেশের পক্ষে এবং অন্য দল বাংলাদেশের বিপক্ষে যাচ্ছে।

rohinga

বাংলাদেশ ইচ্ছাকৃতভাবে রোহিঙ্গাদের মৃত্যুর মুখে ঠলছে!
করোনা ভাইরাসের (COVID-19) প্রভাবের ফলে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের সরিয়ে অনেক দূরে ভাষণ দ্বীপে রাখার ব্যবস্থা করছে। এই নিয়েও আবার প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশ জেনে শুনে রোহিঙ্গাদের মৃত্যু মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

কক্স বাজার করোনা হটস্পট হয়ে উঠতে পারে
চীনের উহানের করোনা ভাইরাসের প্রভাব ইতিমধ্যেই সব দেশের মতো বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করে দিয়েছে। এই সংকটের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার কক্স বাজার নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের অনবরত প্রবেশের ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই এই অঞ্চল করোনা হটস্পট হয়ে উঠতে পারে।

5a06264ae745

কেন এই ভাষণ দ্বীপ মানুষের বসবাস অপযোগী?
আলজাজিরার এক রিপোর্ট মোতাবেক বাংলাদেশ সরকার ২৯ জন রোহিঙ্গাদের ভাষণ ছাড় দ্বীপে পাঠিয়ে দিয়েছে, যেখানে মানুষের জীবন নিয়ে সংশয় রয়েছে। প্লাবন প্রভাবিত সমুদ্র বেষ্টিত এই ভাষণ দ্বীপ প্রথমে মানুষের বসবাস অনুপযোগী ছিল। বর্তমানে এই দ্বীপেই প্রায় ১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ সরকার পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।

অন্তদেশিয় ৪১ টি সংগঠনকে রোহিঙ্গা সহকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়
বাংলাদেশ সরকার এই রোহিঙ্গাদের মায়নমার পাঠানোর অনেক ব্যবস্থা করলেও, মায়নমার সরকার তাঁদের নিতে নারাজ। সেপ্টেম্বরে খবর পাওয়া গেছিল, যারা রোহিঙ্গাদের সাহায্য করে মায়ানমারে ফেরত না যেতে উৎসাহ দিচ্ছিল। এই ঘটনার পরই বাংলাদেশ সরকার ৪১ টি অন্তদেশিয় সংগঠনকে চিহ্নিত করে, যারা দেশ মধ্যে থেকে দেশের বিরোধীতা করছিল।

vasan dip

প্রায় ১ লক্ষ রোহিঙ্গাদের মায়নমারের পার্শ্ববর্তী এক দ্বীপে পাঠাবার ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশের সুরক্ষা ব্যবস্থা সংকটে রয়েছে এবং রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা করছে- এই বিষয়ের উপর পর্যবেক্ষণ করে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরেই প্রায় ১ লক্ষ রোহিঙ্গাদের মায়নমারের পার্শ্ববর্তী এক দ্বীপে পাঠাবার ব্যবস্থা করে।
বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের কক্স বাজার জেলার মধ্যবর্তী রোহিঙ্গা শিবির গুলোকে কাঁটা তাঁর দিয়ে পৃথক করার কাজও শুরু করে দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এইসব ব্যবস্থা করেছে বলেও মনে করা হচ্ছে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর