বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিককালে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Hindu) ওপর ক্রমাগত নির্যাতন চালিয়ে চলেছে এক সম্প্রদায়ের মানুষ, যা নিয়ে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে প্রতিবাদে সামিল হয় দেশবাসী। সম্প্রতি বাংলাদেশের নড়াইল জেলায় হিন্দুদের ঘরবাড়ি এবং দোকান ও মন্দিরে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় এবার আসরে নামল মানবাধিকার কমিশন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বাংলাদেশের নড়াইলের লোহাগড়া এলাকায় হিন্দুদের ঘরবাড়ি এবং পার্শ্ববর্তী সকল দোকানে আচমকা হামলা করে মুসলিমরা। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে একাধিক দোকান এবং মন্দিরে আগুন পর্যন্ত লাগিয়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, “বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে ধর্মের নামে হিংসা কখনই বাঞ্ছনীয় নয়। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আবেদন করছি, তদন্ত চালিয়ে অভিযুক্তদের যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে ক্রমাগত হিংসার ঘটনায় বিদেশিদের মদত রয়েছে। বিশেষত পাকিস্তানের উপরে সন্দেহ প্রকাশ করেছে তারা। উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বিশেষত, নড়াইল জেলায় এই নিয়ে পরপর দুটি ঘটনায় সরগরম হয়ে পড়েছে পরিস্থিতি।
কয়েকদিন পূর্বেই এলাকায় এক কলেজ শিক্ষকের গলায় জুতোর মালা পরিয়ে গোটা এলাকার বুকে তাঁকে অপমান করা হয়। পরবর্তীতে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ প্রশাসন। তবে সেই বিতর্ক থামতে না থামতে পুনরায় হিন্দুদের ঘরবাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ সকলে। ইতিমধ্যে সরকারের পদক্ষেপের দাবি করেছে মানুষ। এক্ষেত্রে হিংসার ঘটনা থামাতে শেষপর্যন্ত কি পদক্ষেপ নেয় শেখ হাসিনা সরকার, সেটাই দেখার।