ঘুরে যাচ্ছে খেলা? এবার চিনের বিরুদ্ধে একজোট ভারত-বাংলাদেশ, চাপ বাড়ল বেজিংয়ের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ব্রহ্মপুত্র নদে চিনের বিশাল বাঁধের প্রতিবাদে এবার ভারতের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh-India)। মূলত, বাংলাদেশের মোহাম্মদ ইউনূস সরকার তিব্বতের ব্রহ্মপুত্রে নির্মিত হতে চলা মেডোগ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত প্রযুক্তিগত তথ্য সরবরাহ করার জন্য চিনকে বলেছে। ঢাকার জলসম্পদ মন্ত্রকের আধিকারিকরা নিশ্চিত করেছেন যে, গত মাসে চারটি মূল নথি চেয়ে বেজিংকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন, সম্ভাব্যতা মূল্যায়ন, জলবায়ুগত প্রভাব মূল্যায়ন এবং দুর্যোগের প্রভাব মূল্যায়ন। তবে, বেজিং এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

চিনের বিরুদ্ধে একজোট ভারত-বাংলাদেশ (Bangladesh-India):

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশ তার সেচ চাহিদার ৫৫ শতাংশের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের জমের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু, চিনের বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা ভারত ও বাংলাদেশ (Bangladesh-India) উভয় দেশেই গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। করো, এই দুই দেশই জল, কৃষি ও মৎস্য চাষের জন্য নদীর ওপর নির্ভরশীল।

Bangladesh-India China recent update.

ব্রহ্মপুত্রের জলের নিয়ন্ত্রণ নেবে চিন: এদিকে, মেডোগ বাঁধ প্রকল্প চিনকে ব্রহ্মপুত্র নদীর জলের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ এনে দেবে। যা ভারত ও বাংলাদেশের (Bangladesh-India) জলের প্রাপ্যতাকে প্রভাবিত করবে। জানিয়ে রাখি যে, তিব্বত মালভূমি থেকে উৎপন্ন ব্রহ্মপুত্র নদী চিনা ভূখণ্ডে ইয়ারলুং সাংপো নামে পরিচিত। এই নদী যমুনা নামে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ল বহুতল! ধ্বংস হল ব্রিজ, ভূমিকম্পে ভয়াবহ অবস্থা মায়ানমার-ব্যাংককের

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, উজানের স্রোতের ওপর চিনের নিয়ন্ত্রণ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাড়াতে পারে। এর পাশাপাশি, উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার প্রবেশ বাড়াতে পারে এবং বাংলাদেশে অভিবাসনের চাপও বৃদ্ধি হতে পারে। এদিকে, বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের ২০২২ সালের রিপোর্টে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহে ৫ শতাংশ হ্রাস দেশের কিছু অঞ্চলে কৃষি উৎপাদন ১৫ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে।

আরও পড়ুন: আর পাত্তা পাবে না চিনের হুমকি! লাদাখ সীমান্তে এবার “দুর্ভেদ্য প্রাচীর” ভারতের

ভূমিকম্পের আশঙ্কাও রয়েছে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভূমিকম্পের দিক থেকে সংবেদনশীল তিব্বত মালভূমি এই বাঁধকে ঘিরে উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। যেকোনও দুর্ঘটনা ভারত ও বাংলাদেশে (Bangladesh-India) বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য বিপর্যয় হতে পারে। ইতিমধ্যেই ভারত তার উত্তর-পূর্ব রাজ্য বিশেষ করে আসাম ও অরুণাচল প্রদেশে এই বাঁধের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওই এলাকার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বেজিংকে তার উদ্বেগ জানিয়েছে। এর পাশাপাশি, চিনকে অনুরোধ করা হয়েছে এটা নিশ্চিত করার জন্য যাতে নিম্নধারায় অবস্থিত দেশগুলির স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর