বাংলা হান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের প্রত্যাঘাতের আবহেই এবার বাংলাদেশের (Bangladesh-India) বিরুদ্ধেও বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা তথা অপপ্রচার চালানোর জন্য ৪ টি বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমেই সামনে এসেছে। এদিকে, ভারতের এই পদক্ষেপ চমকে দিয়েছে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বড় অ্যাকশন ভারতের (Bangladesh-India):
ঢাকা ট্রিবিউনের খবর অনুযায়ী, ভারতে বাংলাদেশের (Bangladesh-India) ৪ টি নিউজ চ্যানেল ব্লক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেসব চ্যানেল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে যমুনা টিভি, অ্যাক্টর টিভি, বাংলাভিশন এবং মোহনা টিভি। এদিকে, চলতি সপ্তাহে ভারত বাংলাদেশকে আরেকটি ধাক্কা দিয়েছে। ভারত ২ দিন আগে সীমান্ত পেরিয়ে আসা ১২৩ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠিয়েছে।
প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ: জানা গিয়েছে যে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে বাংলাদেশের ওই চ্যানেলগুলি ভারতের (Bangladesh-India) বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছিল। যার ফলে ভারত ইউটিউবকে এই চ্যানেলগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলে। ভারত থেকে আদেশ পাওয়ার সাথে সাথেই ইউটিউব এই চ্যানেলগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের সময় দেখা গেছে যে এই চ্যানেলগুলি ভারতের বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছিল।
আরও পড়ুন: “ভারতের চাপ সহ্য করতে পারবে না পাকিস্তান”, ফের কবে শুরু হবে IPL? কী জানালেন সৌরভ?
এদিকে, ইউটিউব থেকেও ওই চ্যানেলগুলিতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই নোটিশের সঠিক উত্তর না পাওয়া গেলে এই চ্যানেলগুলি বাংলাদেশ থেকেও সরিয়ে ফেলা হতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ওই ৪ টি চ্যানেল ছাড়াও বাংলাদেশের (Bangladesh-India) আরও ৩৪ টি মিডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হয়েছে। এদিকে, এই বাংলাদেশি চ্যানেলগুলি নিষিদ্ধ করার আগে, ভারত ইউটিউবে ১৬ টি পাকিস্তানি সংবাদ চ্যানেল ব্লক করেছিল।
আরও পড়ুন: রোহিত শর্মার পর এবার টেস্ট থেকে অবসরের পথে কোহলি? সামনে এল বড় আপডেট
বাংলাদেশ সরকার নীরব: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারত ও পাকিস্তানের উত্তেজনার বিষয়ে কোনও অবস্থান নেয়নি। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসও কোনও বিবৃতি দেননি। ইউনূস পুরো বিষয়টিতে “ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ” অবস্থানে আছেন। এদিকে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইউনূস সরকার অবশ্যই কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যা তাদের ভয় প্রকাশের জন্য যথেষ্ট। কারণ, ইতিমধ্যেই ইউনূস সরকার সীমান্তবর্তী এলাকায় সামরিক নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এর পাশাপাশি, হিন্দুদের ওপর যাতে কোনও আক্রমণ না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য একটি সরকারি নির্দেশ জারি করা হয়েছে। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও: