ঢাকার “এই” পদক্ষেপের কারণেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করে ভারত! সামনে এল আসল সত্যি

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। মূলত, গত বৃহস্পতিবার ভারত জানিয়েছে যে, বাংলাদেশের (Bangladesh-India) ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে ভারতের সিদ্ধান্ত ঢাকার কিছু পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছে। আসলে, ঢাকারে নেওয়া ওই পদক্ষেপ বাণিজ্যকে প্রভাবিত করেছিল। তবে, ঢাকার ঠিক কোন পদক্ষেপ এর কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই সম্পর্কে ভারত বিস্তারিত জানায়নি।

বাংলাদেশের পদক্ষেপের কারণেই কড়া সিদ্ধান্ত নেয় ভারত (Bangladesh-India):

যদিও, এটা বোঝা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের (Bangladesh-India) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভারতীয় সুতো আমদানি নিষিদ্ধ করার এবং ৩ টি বন্দর বন্ধ করার সিদ্ধান্তের পর ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছি। বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলির ক্ষেত্রে, গত সপ্তাহে আমরা ট্রানজিট সুবিধার বিষয়ে একটি ঘোষণা করেছিলাম।”

Bangladesh-India recent new details.

মূলত, সাপ্তাহিক সাংবাদিক সম্মেলনে ভারত-বাংলাদেশ (Bangladesh-India) বাণিজ্য সম্পর্ক সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “আমাদের বন্দর এবং বিমানবন্দরগুলিতে ভিড় বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। তবে আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে এই পদক্ষেপগুলি ঘোষণার আগে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী কী ঘটেছে তা দেখুন।”

আরও পড়ুন: বিশেষ দিনেই কন্যার নাম সামনে আনলেন রাহুল-আথিয়া! উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরাও

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মোহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি চিন সফরে গিয়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তার কয়েকদিন পরই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। মূলত, ইউনূস বলেছিলেন যে, ভারতের (Bangladesh-India) উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির বাংলাদেশের সাথে প্রায় ১,৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে এবং ওই রাজ্যগুলি স্থলবেষ্টিত।”

আরও পড়ুন: কিশোরকে খুন করেও ক্ষান্ত নন, ৪ বছর ধরে মৌলানা যা করলেন….. জানাজানি হতেই শিউরে উঠছেন সকলে

তিনি আরও জানান যে, “উত্তর-পূর্বে ভারতের (Bangladesh-India) ৭ টি রাজ্য স্থলবেষ্টিত হওয়ায় তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের দেখভাল করি। যেটি নিঃসন্দেহে একটি বিশাল সম্ভাবনা। এটি চিনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণের বিষয় হতে পারে।” এদিকে, ইউনূসের এহেন মন্তব্যের পরেই শুরু হয় তুমুল সমালোচনা।

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X