হাসিনার প্রসঙ্গে ভারতের কী ভাবা উচিত? রাখঢাক না রেখে জানাল বাংলাদেশ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সময় যতই এগিয়েছেন ততই অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি। শুধু তাই নয় ভারতের সঙ্গেও বেড়েছে দূরত্ব। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে দিন কয়েক আগেই ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মুখোমুখি হয়েছিলেন ওপার বাংলার বিদেশমন্ত্রী। মাস্কটে আয়োজিত ‘ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স’এ জয়শঙ্কর ও তৌহিদ হোসেন হাজির হয়েছিলেন।

হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) মতামত:

সেই কনফারেন্সে অবশ্য শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ থেকে শুরু করে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে মহম্মদ ইউনুসের (Mohammad Yunus) সাক্ষাতের সম্ভাবনার বিষয়গুলো উঠে আসে। ভারতের এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের তরফে যখন তৌহিদ হোসেনকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে ভারত কোন পদক্ষেপ নিতে পারে, তখন তিনি পরিস্কার জানিয়ে দেন যে, হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে বলা হয়েছে।

আরোও পড়ুন : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বিশেষ ছাড়! টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়দের জন্য বড় পদক্ষেপ BCCI-র

শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশমন্ত্রী আরও জানান যে, হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং তাকে বিচারের মুখোমুখি করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ভারত প্রত্যার্পণের বিষয়টি নিয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত না এগোচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত যেন হাসিনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে। তাঁর কথায়, ‘আমরা আশা করব, ভারত অন্তত হাসিনার ওপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, যাতে তিনি এমন কোনও উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ও মিথ্যা বক্তব্য না দেন, যেটা মানুষকে উস্কে দিতে পারে।’

আরোও পড়ুন : ভারতকে দেখে শুধুই হিংসে! ফের কপাল পুড়ল “কাঙাল” পাকিস্তানের, বড়সড় সঙ্কটের সম্মুখীন শরীফ

শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) নিয়ে তৌহিদের বক্তব্য, ‘১৫ বছর ধরে তিনি ক্ষমতায় ছিলেন এবং মানুষ তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে তীব্রভাবে ক্ষুব্ধ। তাই তাঁরা দেখতে চান যে তিনি যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা না করেন।’ পাশাপাশি সদ্য ধানমন্ডিতে ঘটে যাওয়া তুমুল ভাঙচুরের ঘটনা প্রসঙ্গে তৌহিদ বলেন, ‘জনতা বিশৃঙ্খলা করতে পারে, তবে তাতে সমর্থন নেই সরকারের।’

তৌহিদের কথায়, ভারত (India) ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে’। একইসঙ্গে তিনি বলছেন,’ আমরা অনেক অভিযুক্তকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ভারতকে ফিরিয়ে দিয়েছি।’ ইউনুস সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টার সংযোজন, ‘ভারত শেখ হাসিনাকে ‘বাংলাদেশে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ফিরিয়ে দিতে পারে।’ এদিকে, এপ্রিলে বিমসটেকে ভারত ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সাক্ষাতের বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলছে।

Bangladesh intention for Sheikh Hasina to India

সেখানে মোদি-ইউনূসের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়ে তৌহিদ জানান,’ এই সরকারের (ইউনুস) শুরুতে তাঁরা একবার টেলিফোনে কথা বলেছেন। বিমসটেকে তাঁরা একই অনুষ্ঠানস্থলে থাকবেন। আমার মতে, অন্যান্য দেশের সরকারপ্রধানেরাও থাকবেন। যদি তাঁরা সেখানে থাকেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই পরস্পরের সঙ্গে কথা বলবেন। কারণ এটা একটি ছোট গ্রুপ।’

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর