বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) অবস্থা জটিল হয়ে উঠেছে। বলা যায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে বিপুল পরিবর্তন এসেছে নতুন বাংলাদেশে। বিশেষ করে, হাসিনার দল আওয়ামী লীগ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আর এবার এই আবহেই বিরাট সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের। এই সিদ্ধান্তে শুরু হয়েছে ঘোরতর বিতর্ক।
ঠিক কি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার:
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে (Bangladesh) নির্বাচন হওয়া নিয়ে বিভিন্ন রকমের জল্পনা উঠে আসছে। আর এবার সেই নির্বাচন নিয়েই বিরাট ঘোষণা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই বিষয়ে জানা গিয়েছে, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না। একমাত্র বাংলাদেশ-পন্থী রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। আর তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আরও এক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এমন খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে শেখ হাসিনা বিদায় নেওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগকে নিয়ে বিভিন্ন রকমের জটিলতা সৃষ্টি হয়। এই দলকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার দাবি তোলে একাধিক রাজনৈতিক দলগুলি। এমনকি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করারও দাবি তোলা হয়। যদিও নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়, দলকে নিষিদ্ধ করা হবে না। এমনকি আগামী নির্বাচনে এই দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলেও ইঙ্গিত দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এমনটাই কানাঘুষো শোনা যায়। উল্টোদিকে এরই মধ্যে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: কখন উঠবে মামলা? আজই চূড়ান্ত ফয়সলা! SSC ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলার সুপ্রিম আপডেট
মাহফুজ আলম জানিয়ে দিয়েছেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। তাঁর মতে, আওয়ামী লীগ হচ্ছে দিল্লি-পন্থী। আর এই দল বাংলাদেশে (Bangladesh) ফিরে আসলে আবারও “ফ্যাসিবাদ” ফিরে আসবে। শনিবার চাঁদপুরের হাজিগঞ্জের একটি সভা থেকে এই দাবি করেন তিনি। মাহফুজ জানান, “বাংলাদেশ-বিরোধী আওয়ামী লীগকে আর নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। এখানে নির্বাচন হবে বাংলাদেশ-পন্থী দলগুলির মধ্যে। আওয়ামী লীগের সঙ্গীদেরকেও নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না।”
আরও পড়ুন: পৃথিবী থেকে মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও বেঁচে থাকবে এই প্রাণীটি! জানলে শিউরে উঠবেন
কারা কারা অংশ নিতে পারবে এই নির্বাচনে: এই বিষয়ে মাহফুজ জানিয়েছেন, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামির মতো দলগুলি বাংলাদেশ-পন্থী। তাঁর মতে, একমাত্র এই দলগুলিই বাংলাদেশে (Bangladesh) রাজনৈতিক কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। প্রসঙ্গত, এই মাহফুজকেই বাংলাদেশের “জুলাই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড” বলে উল্লেখ করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। এমনকি হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পিছনে মাহফুজের যে ভূমিকা ছিল সে কথাও বলেন ইউনূস সরকার। আর এবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচন থেকে কিভাবে সরানো যায় সেই ব্যবস্থাই করছেন।