ভারতের একটি চালেই দিশেহারা বাংলাদেশ! “ক্ষতি” থেকে বাঁচতে আলোচনার পথে হাঁটতে রাজি ইউনূস সরকার

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি ভারত (India) স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে রেডিমেড পোশাক এবং অন্যান্য একাধিক ভোগ্যপণ্যের রফতানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতের এই সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত করা হচ্ছে। এখন এই বিষয়ে মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিক্রিয়াও সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন যে, তাঁর সরকার ভারতের সাথে সমস্ত অমীমাংসিত বাণিজ্য সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বড় পদক্ষেপ ভারতের (India):

শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, “ভারত (India) সরকারের কাছ থেকে এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আমরা এখনও কোনও অফিসিয়াল তথ্য পাইনি। আমরা যখন সেই তথ্য পাব, তখনই আমরা এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারব।” তিনি বলেন, “যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে উভয় পক্ষই পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করবে।” জানিয়ে রাখি যে, ভারত সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে রেডিমেড পোশাক, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কার্বনেটেড পানীয়, বেকারি পণ্য, স্ন্যাকস, চিপস, মিষ্টি, তুলো ও সুতির বর্জ্য, প্লাস্টিক ও পিভিসি দিয়ে তৈরি তৈরি পণ্য এবং কাঠের আসবাবপত্রের আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।

Bangladesh is being affected by this decision of India.

আসলে, এর আগে বাংলাদেশ ভারত (India) থেকে স্থলপথে সুতো আমদানি নিষিদ্ধ করেছিল। ভারত তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধাও স্থগিত করেছিল। এই পারস্পরিক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার পটভূমি হল গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি এবং বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছিল।

আরও পড়ুন: এতকিছুর পরেও ভারতে টুর্নামেন্ট খেলতে আসতে চায় পাকিস্তান! ভিসার জন্য জানানো হল কাতর আর্জি

এদিকে, শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, “আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে ভারত (India) মূলত আখৌড়া এবং ডাউকি সীমান্ত পোস্টে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আমাদের অগ্রাধিকার হল প্রতিযোগিতামূলক বিষয় অর্জন করা। যা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক।” তিনি আরও বলেন, “আমরা ভৌগোলিকভাবে একে অপরের সাথে সংযুক্ত দেশ। প্রতিযোগিতা, পরিবহণ খরচ এবং অন্যান্য কারণ নিশ্চিত। এই কারণে, আমরা সময়ে সময়ে আমাদের কৃষিজ পণ্য আমদানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করি এবং ভারতও তাই করে। এটি একটি ব্যবসা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া এবং আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে উভয় পক্ষই একসাথে সমাধান খুঁজে বের করবে।”

আরও পড়ুন: ফের বাজিমাত ভারতের! এশিয়া কাপে বড় সিদ্ধান্ত BCCI-র! ২০০ কোটির ঝটকা পেল পাকিস্তান

জানা গিয়েছে, ভারতের (India) এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের প্রায় ৭৭০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের রফতানিকে প্রভাবিত করবে যা বাংলাদেশের মোট রফতানির প্রায় ৪২ শতাংশ। ভারতের আরোপিত বিধিনিষেধের পর, বাংলাদেশকে এখন মুম্বাইয়ের নহাভা শেভা বন্দর এবং কলকাতা বন্দর দিয়ে ভারতে তৈরি পোশাক পাঠাতে হবে। যার ফলে খরচ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ভারত স্পষ্টভাবে বলেছে যে, কোনও স্থলবন্দর থেকে বাংলাদেশ থেকে রেডিমেড পোশাক আমদানি করা যাবে না। সেগুলি কেবল নহাভা শেভা এবং কলকাতা বন্দর দিয়ে আমদানির ক্ষেত্রে অনুমোদন করা হয়েছে।

দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X