বাংলাদেশ ইস্যুর দায়িত্বে মোদি! ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বড় প্রতিক্রিয়া পড়শি দেশের সংবাদমাধ্যমের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ওয়াশিংটন ডিসি-তে মোদির বৈঠকে উঠে আসে বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রসঙ্গ। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়ে ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন,  ‘বাংলাদেশের বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর ছেড়ে দেব।’

বাংলাদেশ (Bangladesh) ইস্যুতে নমোর উপর আস্থা ট্রাম্পের

এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh জনপ্রিয় সংবাদপত্র প্রথম আলো তাদের ডিজিটাল সংস্করণে “বাংলাদেশের ঘটনাবলিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপ স্টেট’–এর ভূমিকা নাকচ করে দিলেন ট্রাম্প” শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

আরোও পড়ুন : অপেক্ষার অবসান! এই তারকা প্লেয়ারই হচ্ছেন KKR-এর অধিনায়ক? চলে এল বড় আপডেট

একই সাথে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে ভারতের (India) উদ্বেগের কথাও তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। বাংলাদেশের (Bangladesh) অপর একটি সংবাদপত্র দৈনিক জনকণ্ঠ এই বিষয়টি নিয়ে  ‘ট্রাম্প বললেন, মোদীর হাতেই ছেড়ে দিচ্ছি! মোদী কেন এড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গ’ শীর্ষক শিরোনাম দিয়ে প্রকাশ করেছে একটি প্রতিবেদন।

আরোও পড়ুন : ধোপে টিকল না রাজ্যের যুক্তি! নতুন করে বিচারের নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট! কোন মামলায়?

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বৈঠকে অন্যান্য আন্তর্জাতিক ইস্যুর পাশাপাশি বাংলাদেশের বিষয়টিও উঠে আসে। তবে মোদি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য না করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে কথা বলেন, যা নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।’ ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়।

Bangladesh Media comments Donald Trump Narendra Modi meet

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রতিবেদনে আরো লেখা হয়েছে, ওয়াশিংটনে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উপস্থিতির সময় মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ‘কিলার ইউনূস’ বলে স্লোগান তোলা হয়, যেখানে অভিযোগ আনা হয় যে, মহম্মদ ইউনূস (Mohammad Yunus) জঙ্গিদের মদতে ক্ষমতায় আছেন।

আরোও পড়ুন : বাজেটে কোনো সুখবর মেলেনি! এবার বড় পদক্ষেপ মিডডে মিল কর্মীদের, চাপ বাড়ছে মমতার?

রিপোর্টের শেষে উল্লেখ করা হয়,  ‘বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদীর নীরবতা ও কৌশলী অবস্থান অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ভারতীয় রাজনীতিতে বাংলাদেশের গুরুত্ব অপরিসীম, কিন্তু মোদির নীরবতা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন আলোচনার দ্বার উন্মোচন করেছে।’

Bangladesh Media comments Donald Trump Narendra Modi meet

ট্রাম্প ও মোদির বৈঠকের পর আমেরিকার সংবাদ চ্যানেল সিএনএনের সাংবাদিক উইল রিপলি বলেন,  ‘আমরা প্রথমে ট্রাম্পের সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবার অত্যন্ত ইতিবাচক বৈঠক দেখেছি এবং এখন ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে অত্যন্ত ইতিবাচক বৈঠক দেখলাম। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কীভাবে আলোচনা করতে হয়, অন্যান্য বিশ্বনেতাদের জন্যে এটা একটা মাস্টারক্লাস।’

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর