বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের একবার প্রশ্নের মুখে বাংলাদেশের (Bangladesh) ধর্মনিরপেক্ষতা। হাসিনা সরকারের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করতে জোর সওয়াল করল মহম্মদ ইউনূসের (Mohammad Yunus) নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী বাতিলের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে আদালতে অন্তর্বর্তী সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান মুখ খুলেছেন।
বাংলাদেশের সংবিধানে (Bangladesh) আসছে বদল
তিনি বলেছেন, ‘‘পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের বুকে কুঠারাঘাত করা হয়েছে।’’ মহম্মদ আসাদুজ্জামান প্রথমে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রসঙ্গ না টেনে ‘মৌলিক অধিকারের’ প্রশ্ন তুলেছেন আদালতে। তারপর আদালতে আসাদুজ্জামান সওয়াল করেন,‘‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটা রাখার দরকার নেই। এই দেশের ৯০ ভাগ মুসলমান। আগে আল্লার প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের কথা ছিল। এটি যে ভাবে আগে ছিল, সে ভাবেই চাইছি।’’
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ (Bangladesh)। তারপর ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবর রহমানের শাসনকালে প্রণীত সংবিধানে উল্লেখ করা হয় ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দগুলি। যদিও পরবর্তীকালে জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং জেনারেল হুসেন মহম্মদ এরশাদের শাসনকালে সংবিধানে কোপের মুখে পড়ে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা।’
আরোও পড়ুন : বছর শেষেই ‘লক্ষ্মী লাভ’! ৬ বছর পর বেতন বাড়ল ‘কর্মবন্ধু’দের, কত টাকা পাবেন তাঁরা?
এরপর ২০১১ সালে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে আসে। সংবিধানে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয় এই সংশোধনীর মাধ্যমে। পঞ্চদশ সংশোধনী ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা’ – এই চারটি বিষয়কে ‘মৌলিক রাষ্ট্রীয় নীতি’ হিসাবে পুনর্বহাল করে হাসিনা সরকার।
তবে বুধবার আদালতে বাংলাদেশের (Bangladesh) অ্যাটর্নি জেনারেল সওয়াল করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতান্ত্রিক চেতনার প্রয়োজন বর্তমান বাংলাদেশে নেই। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশিস রায়চৌধুরীর বেঞ্চে বুধবার বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল স্পষ্ট করে দেন সে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান থেকে বাদ দিতে চাইছে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা।’