বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের (Bangladesh) সাংসদ খুনের ঘটনায় বিস্ফোরক তথ্য সামনে এলো। মুম্বাই থেকে কসাই এনে কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল আনোয়ারুল আজিম আনার-এর দেহ। তদন্তকারীদের হাতে উঠে এলো এমনই চমকপ্রদ তথ্য। এরই মধ্যেই মুম্বাইয়ের এক কসাই জাহির হাওলাদার।
কে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। আওয়ামি লীগের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনারের দেহ টুকরো করার জন্য নিউটাউন এর ফ্ল্যাটে আনা হয়েছিল ওই কসাইকে। বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুলকে নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে ডাকা হয়। সেখানে ওই ব্যক্তিকে খুন করে তারপর কসাই ডেকে টুকরো টুকরো করা হয় তাঁর দেহ।
আরোও পড়ুন : ভোট লুটের দিন শেষ! নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বিষ্ণুপুরে! রেডি থাকছে আধা সেনা থেকে শুরু করে QR টিম
দেহের অংশগুলি ছড়িয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়, বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। প্রমাণ লোপাঠ করতে শরীর থেকে তুলে ফেলা হয় চামড়া। হার আলাদা করে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয় দেহ। এখনো পর্যন্ত দেহের কোন অংশই উদ্ধার করা যায়নি। ইতিমধ্যেই ক্যাবচালকে সন্দেহের বসে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
আরোও পড়ুন : আর চিন্তা নেই! এবার রাতে মেট্রো করেই ফিরতে পারবেন ঘরে, বদলাচ্ছে সময়সূচি! দেখুন টাইমটেবিল
জানা গিয়েছে যে, মৃতদেহের টুকরো পোলেরহাট থানার ভাঙ্গরে ফেলা হয়েছিল কিনা তা জানতে বৃহস্পতিবার সেখানে সিআইডি (Central Investigation Department) টিম যায়। কিন্তু কোন দেহাংশ উদ্ধার হয়নি সেখান থেকে। এরই মধ্যে সামনে আসছে আখতারুজ্জামান শাহীন নামের এক ব্যক্তির নাম।
বাংলাদেশী হলেও তাঁর নাগরিকত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। খুন হওয়ার সাংসদের পরিবারের সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল বলে খবর। সেই সম্পর্কের অবনতি হতেই কি এমন মর্মান্তিকভাবে হত্যা করা হলো বাংলাদেশী সাংসদ কে? প্রশ্ন উঠছে। ৫ কোটি টাকার সুপারি দিয়ে পুরো পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আক্তারুজ্জামান শাহীন। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম “কালের কণ্ঠ”কে তিনি জানান, “আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ঘটনার সময় বাংলাদেশে ছিলাম। পাসপোর্ট দেখলেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।” কি কারনে এই হত্যা? সেটাই ভাবাচ্ছে পুলিশকে।