বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত বছর অগাস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই যেন হাওয়া বদলে গিয়েছিল বাংলাদেশে (Bangladesh)। নতুন দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে রাতারাতি তৈরি হয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস সরকারে এসেই পালটে দেবেন বাংলাদেশের (Bangladesh) ভোল। এমনটাই ভেবেছিলেন সকলে। আর সেই স্বপ্নে ভর করেই ভারত বিদ্বেষের ‘বিষ’ উগরে দিতেও দেখা গিয়েছিল অনেককে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই বোঝা গেল সবটাই ছিল ‘দিবাস্বপ্ন’।
ভারতের জন্য সুর বদল বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূসের
বিগত ছয় মাস বাংলাদেশের উন্নতি তো দূর, বরং অর্থনীতি আরো ধসে পড়েছে। উপরন্তু চতুর্দিকে ঋণের বোঝায় কার্যত হাঁসফাঁস অবস্থা প্রতিবেশী দেশের (Bangladesh)। এমতাবস্থায় এবার হঠাৎ করেই সুর পালটে ফেললেন ইউনূস। প্রথমে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে অনীহা প্রকাশ করলেও এখন বিপাকে পড়েই ‘শত্রু’র উদ্দেশে হাত বাড়ালেন তদারকি সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা।
বিপদে পড়েই নড়েছে টনক: এমনিতে এখনো চাল, পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের মুখাপেক্ষী হয়েই থাকতে হয় বাংলাদেশকে (Bangladesh)। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি হাসিনার সময়কালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎ চুক্তি না মানতে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছিল বাংলাদেশে (Bangladesh)। কিন্তু সামনেই গরম আসছে। আর তাতেই টনক নড়েছে পড়শি দেশের। এর আগে বকেয়া টাকা না মেটানোয় অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছিল আদানি সংস্থা। তাই এবার ফের সুর বদলে পুরো বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেছে ঢাকা।
আরো পড়ুন : ১৮ টি প্রাণ যেতেই নড়ল টনক! স্টেশনে ভিড় সামলাতে এবার ঢালাও পরিকল্পনা ভারতীয় রেলের
কী বললেন ইউনূস: এবার ভারতের উদ্দেশে সুর নরম করতে শোনা গেল মহম্মদ ইউনূসকে। ১৬ ই ফেব্রুয়ারি এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভারত, বাংলাদেশ (Bangladesh), নেপাল এবং ভুটান, এই চার দেশ মিলে এক ‘যৌথ অর্থনীতি’ গড়ে তুলতে হবে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এই চার দেশ যৌথ অর্থনীতি গড়লে তাতে সকলেই লাভবান হবে। এই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরো পড়ুন : উলটপুরাণ! ভারতের শত্রুদের পাকিস্তানে করা হচ্ছে নিকেশ, নেপথ্যে “কে”?
ইউনূস যখন একথা বলছেন, তখন একই দিনে ওমানের রাজধানীতে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের এক ফাঁকে বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ওই বৈঠক শেষে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়, বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ এবং উদ্বেগের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।