বাংলাহান্ট ডেস্ক: এবার বঙ্গোপসাগরে বার্ষিক মহড়ায় হাজির বাংলাদেশের (Bangladesh) নৌবাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেণের অনুশীলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ‘এক্সারসাইজ সেফ গার্ড’ নামক মহড়া সম্পন্ন করল বঙ্গোপসাগরে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর প্রধানদের উপস্থিতিতে মিসাইল লঞ্চের অনুশীলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের (Bangladesh) নৌবাহিনীর কর্মকাণ্ড
এমনকি যে জাহাজ থেকে মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয় সেখানে ছিলেন এই তিন বাহিনীর প্রধানেরা। জাহাজেই বিভাগীয় প্রধানদের গার্ড অফ অনার সম্মানে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর (Bangladesh Navy) একাধিক জলযান অংশ নেয় এই অনুশীলনে। পাশাপাশি মহড়ায় অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশের সেনা এবং বিমানবাহিনীও। এমনকি মহড়ায় সামিল হয়েছিল বাংলাদেশের কোস্টগার্ডও।
আরোও পড়ুন : iPhone ব্যবহারকারীদের জন্য সামনে এল বড় সতর্কবার্তা! এই কাজটি না করলেই হবে ডেটা লিক
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে মহড়ার শেষ দিন লঞ্চ করা হয় ক্ষেপণাস্ত্র। পাশাপাশি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে যুদ্ধ বিমান প্রতিরোধকারী গোলাও বর্ষণ করা হয় মহড়ার অংশ হিসেবে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি জাহাজ পাঠানো হচ্ছে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে। বাংলাদেশের জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র জয়’ অংশ নেবে পাকিস্তানের করাচির আসন্ন আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউতে।
আরোও পড়ুন : কাঁটায় কাঁটায় টক্কর, ‘জগদ্ধাত্রী’কে টাইট দিতে “হুঁশ ওড়ানো” প্রোমো আনল ‘কথা’!
৭ থেকে ১১ ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই জাহাজটি থাকবে করাচিতেই। জানা গেছে, ক্যাপ্টেন মহম্মদ শাহরিয়ার আলমের নেতৃত্বে ‘বানৌজা সমুদ্র জয়’ জাহাজে রয়েছেন ২৭৪ জন নাবিক। এই জাহাজে উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৩৩ জন অফিসার।পূর্বে বাংলাদেশে (Bangladesh) দুটি বাণিজ্যিক জাহাজ আসে পাকিস্তান থেকে।
২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সাথে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ শুরু হয়। দ্বিতীয় দফায় পাকিস্তানের ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ জাহাজটি চট্টগ্রাম এসে পৌঁছায় ২০২৪ সালের ২১ ডিসেম্বর। এবার করাচিতে আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউতে অংশ নিতে করাচি গেল বাংলাদেশের জাহাজ।