গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসে নেই হাসিনার নাম! বাংলাদেশে ফের শুরু হইচই

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দিন যত যাচ্ছে ততই পদ্মার জল ঘোলা হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এগুলো যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।  শেখ হাসিনা বিদায় হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) এমন পরিণতি। উল্টোদিকে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের শাসন চালানোর পাশাপাশি বদল আনছে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে। আর এবার এই বদলেই তৈরি হল বিতর্ক। একেই এমন পরিস্থিতি তার উপর এই বিতর্ক আরও চাপ সৃষ্টি করেছে।

ঠিক কি ঘটেছে বাংলাদেশে (Bangladesh):

বাংলাদেশে (Bangladesh) বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিছুদিন আগে সংবিধান পরিবর্তনের কথা শোনা যায়। আর এবার শোনা যাচ্ছে পাঠ্যপুস্তকেও বদল আনা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অধিকাংশ বইতেই সংশোধন করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সেই সমস্ত বই থেকে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান প্রসঙ্গ অনেকটাই বাদ দেওয়া হয়েছে। শুধু বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানই নন একই সঙ্গে বাদ দেওয়া হয়েছে বাংলাদশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও। উল্টে পাঠ্যপুস্তকে যুক্ত হয়েছে গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের কথা। আর এখানেই শুরু হয় বিতর্ক। 

Bangladesh new controversy.আসলে অভিযোগ উঠছে বাংলাদেশে (Bangladesh) যে পাঠ্যবই দেওয়া হয়েছে তাতে তথ্যগত অনেক ভুল রয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে যে নতুন অধ্যায় যুক্ত হয়েছে সেখান থেকে বাদ পড়েছে শেখ হাসিনার নাম। একই সাথে নাম নেই আওয়ামী লীগেরও। আর এই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকি বইতে যে গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ উল্লেখ রয়েছে সেখানেও ভুল রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। জানা যাচ্ছে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর  পাঠ্য বইয়ে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আটটি লেখা স্থান পেয়েছে।

আরও পড়ুন: একটাই দাবি! আরজি কর মামলার রায়ের কপি নিয়ে জেলে ঘুরছে সঞ্জয়! বলছেন…

তবে এর মধ্যে নবম ও দশম শ্রেণির “বাংলা সাহিত্য” বইতে যুক্ত হয়েছে “আমাদের নতুন গৌরবগাথা” নামের একটি অধ্যায়। আর সেখানেই ছাত্র-জনতার গণভবন ঘেরাও করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা রয়েছে। সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে, এখানে হাসিনার নাম না করে তাঁকে উল্লেখ করা হয়েছে “শাসন ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা ফ্যাসিবাদী এক শাসক” বলে। শুধু তাই নয়, বলা হয়েছে “পতন টের পেয়ে স্বৈরাচারী সরকার প্রধান পালিয়ে যান দেশ ছেড়ে”। আর ঠিক এই কারণেই বিতর্ক সৃষ্টি। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন এই প্রবন্ধে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নাম লেখা হয়নি।

আরও পড়ুন:একাধিক সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ অর্থ দফতরের

পাশাপাশি অভিযোগ উঠছে, যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের নামেও একাধিক ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। যেমন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পরিবর্তে প্রাক্তন সেনাপ্রধান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর তারপর থেকেই দাবি করা হচ্ছে বাংলাদেশের পাঠ্য পুস্তকের সংশোধন করার জন্য। এই বিষয় পুস্তক পরিমার্জন কমিটির দায়িত্বে থাকা সাজ্জাদুর রহমান জানিয়েছেন, “নবম শ্রেণির বইয়ে না থাকলেও অষ্টম শ্রেণির বইয়ে হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নাম আছে। সেখানে হাসিনা বিনা ভোটে জিতেছেন, গুম খুন করেছেন ইত্যাদি বিষয়  লেখা হয়েছে।” শুধু তাই নয় তিনি আরও বলেন,  “আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের (Bangladesh) সব থেকে পুরাতন এবং বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।” সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক তথ্যগত ভুল সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু এখনও এই বিতর্ক থামেনি।

Sunanda Manna
Sunanda Manna

সুনন্দা মান্না, বাংলা হান্টের স্ক্রিপ্ট রাইটার। গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতা করার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে কাজ শুরু। দেশ থেকে বিদেশ, রাজনীতি, বিনোদন বিভিন্ন তথ্যই আপনাদের কাছে তুলে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর