বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে ভারত এবং বাংলাদেশের (Bangladesh) মধ্যে সম্পর্ক যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইউনূস সরকার ওই দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর তাদের একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। ঠিক এই আবহেই একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, দক্ষিণ ত্রিপুরার মুহুরী নদীর কাছে বাংলাদেশ আরও একটি বাঁধ নির্মাণ করছে বলে খবর মিলেছে। যার ফলে ত্রিপুরার নিকটবর্তী শহরগুলিতে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ফের ভয়ানক ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের (Bangladesh):
এদিকে, ভারত ও বাংলাদেশের (Bangladesh) মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এই ঘটনাটি সামনে এসেছে। এমতাবস্থায়, গত শনিবার বেলোনিয়ার সিপিএম বিধায়ক দীপঙ্কর সেন এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, ওই বাঁধটি প্রায় ১.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২০ ফুট উঁচু।
এদিকে, দীপঙ্কর সেন বলেন, “ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি অনুসারে, কোনও দেশ জিরো লাইনের ১৫০ গজের মধ্যে কোনও নির্মাণকাজ করতে পারে না। তবে এই বাঁধটি ৫০ গজের কম দূরত্বে রয়েছে এবং কিছু জায়গায় ১০ গজেরও কম দূরত্বে নির্মিত হয়েছে। এই ধারার অধীনে, বাংলাদেশের (Bangladesh) আপত্তির কারণে দক্ষিণ ত্রিপুরার অনেক জল উত্তোলন প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।”
“সিএমও রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে”: এমতাবস্থায়, সিএমও সূত্র জানিয়েছে যে তারা এই বিষয়ে রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে যে তারা ঘটনাটি তদন্ত করবে। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ ত্রিপুরার এসপি মৌর্য কৃষ্ণ সি সেন বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে এবং আমরা এটি তদন্ত করছি। এই মুহূর্তে, চিন্তার কিছু নেই।” তিনি বলেন, বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রতিদিন ১০ টি ড্রেজার ব্যবহার করে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ফের বিশ্বকে চমকে দেবে ISRO! মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার সাথে স্পেসে পাঠানো হবে এই “অদ্ভুত প্রাণী”
বিষয়টি বিধানসভায় উত্থাপিত হয়েছে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ভারত-বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্তে বেলোনিয়া শহরের কাছে মুহুরী নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত নেতাজি সুভাষ চন্দ্র নগর এবং ঈশান চন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েতে বসবাসকারী ৫০০ টিরও বেশি পরিবার বর্ষাকালে বন্যার আশঙ্কা করছেন। এই বাঁধ নির্মাণের ফলে নদীর জল আটকে যাবে এবং বেলোনিয়া শহর প্লাবিত হতে পারে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা উনাকোটি জেলার কৈলাশহরে বাংলাদেশ কর্তৃক অনুরূপ একটি বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: “অসাধারণ অভিষেক”, বৈভবের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ খোদ গুগলের CEO, প্রশংসা করে কী জানালেন পিচাই?
এদিকে, স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা বিধানসভায় বিষয়টি উপস্থাপিত করেছিলেন এবং বন্যার ঝুঁকি এবং বহিরাগত হুমকি সম্পর্কেও কথা বলেছিলেন। তা সত্বেও, বাংলাদেশ (Bangladesh) নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখে। যার ফলে মনু নদীতে মরশুমি বন্যা রোধ করার লক্ষ্যে ভারতকে কৈলাশহরের চারপাশে বৃহত্তর বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প শুরু করতে হয়েছে।