তলে-তলে এই প্ল্যান! ভারতকে বড়সড় ঝটকা দেওয়ার প্রস্তুতি বাংলাদেশের, তিস্তা প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে চিন?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গোপনে বড় কৌশল আঁটছে বাংলাদেশ (Bangladesh) আর চিন। ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে বড় ষড়যন্ত্র করছে দুই পড়শি দেশ। রিপোর্ট বলছে, তিস্তা প্রোজেক্টে চিনকেও সঙ্গী করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকার। এমনটা হলে ভারতের পক্ষে তা বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। রিপোর্ট মোতাবেক, তিস্তার সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার জন্য প্রস্তাবিত প্রোজেক্টে চিনকেও সামিল করতে পারে বাংলাদেশ (Bangladesh)। এর জন্য গণ শুনানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনূস প্রশাসন।

তিস্তা প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনা বাংলাদেশের (Bangladesh)

উল্লেখ্য, তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা বরাবরই এই প্রকল্প থেকে চিনকে দূরে রেখেছিল। কিন্তু মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই প্রোজেক্টকেই এবার হাতিয়ার করেছে ভারতকে রাজনৈতিক ভাবে চাপে রাখতে। রবিবার বাংলাদেশের (Bangladesh) রংপুর জেলার প্রশাসন ‘তিস্তা নিয়ে করণীও’ শীর্ষক একটি গণ শুনানির আয়োজন করেছিল।

Bangladesh planning to involve china in teesta project

কী শর্ত দেওয়া হয়েছে: বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সেখানে বলা হয়েছে, চিন সরকার এর আগে নদী সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছিল। চিনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাঁদের। তবে এর জন্য দু বছর সময় চেয়েছে চিন, যাতে রাজি হয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh) শর্ত রেখেছে, তিস্তার তীরে বসবাসকারী মানুষজনদের মতামত নিয়েই হবে এই প্রোজেক্ট। তিস্তা নদীর ড্রেজিং, জলাধার নির্মাণ সহ দুই তীরে বাঁধ এবং স্যাটেলাইট টাউনশিপ নির্মাণের কাজ ২০২৫ এর ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে হবে বলে দ্বিতীয় শর্ত রাখা হয়েছে।

আরো পড়ুন : তেজস নিয়ে টালবাহানা! যুদ্ধবিমান সরবরাহের ব্যর্থতায় “HAL”-এর ওপর চটলেন বায়ুসেনা প্রধান

আগে থেকেই ছিল বিবাদ: প্রসঙ্গত, তিস্তার জল নিয়ে ভারত বাংলাদেশের (Bangladesh) মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণে ২০১১ সাল থেকেই এই প্রোজেক্টের কাজ স্থগিত রয়েছে। আর এই সুযোগেই চার বছর আগে চিন এন্ট্রি নিয়ে নিজের প্রস্তাব রাখে। গত বছর হাসিনার ভারত সফরের সময়ে এই প্রোজেক্টে চিনের নাক গলানো রোখার জন্য ভারত নিজের সমস্যার বিষয়গুলি বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সামনে উত্থাপন করেছিল। সমঝোতাও হয়েছিল দুই দেশের সরকারের মধ্যে। সেই মতো এই প্রোজেক্টের বিষয়ে একটি টেকনিক্যাল টিম ভারত থেকে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়ে ভারতকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও বলেছিলেন হাসিনা। কিন্তু তার পরেই পতন হয় তাঁর।

আরো পড়ুন : মোদীর বিমানে সন্ত্রাসবাদী হামলার হুমকি! প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের আগেই উড়ো ফোন, তারপরে যা হল….

বর্তমান ইউনূস সরকারের ভারত বিরোধী মনোভাব পরিস্থিতি ঘোরালো করে তুলেছে। এই প্রোজেক্টে চিনের দখলদারি ভারতের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, তিস্তা প্রোজেক্টে চিনের যোগদান ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক হবে। উল্লেখ্য, যে স্থানে নদীটি ভারত থেকে বাংলাদেশে (Bangladesh) প্রবেশ করে তা শিলিগুড়ি করিডোর বা ‘চিকেনস নেক’ থেকে মাত্র ১০০ কিমি দূরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ ভারতের জন্য আরো বেশি সমস্যা তৈরি করতেই এই পথ অবলম্বন করেছে।

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর