বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ সময় পর ভারত (India) সফরের উদ্দেশ্যে পৌঁছে গিয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে ভারত এবং বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি জল বন্টন এবং অন্যান্য একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হতে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এর মাঝেই বর্তমানে বাংলায় গরু পাচার দুর্নীতি নিয়েও ইতিমধ্যে একাধিক প্রশ্ন সামনে এসেছে। অবশেষে এই ঘটনায় মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, আজ থেকে শুরু হওয়া ভারত সফরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দ্রৌপদী মুর্মু, এস জয়শঙ্কর সহ অন্যান্য একাধিক শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে হাসিনার। দীর্ঘ তিন দিনের এই সফরে জল বন্টন ব্যবস্থার পাশাপাশি বাণিজ্য স্থাপন এবং অন্যান্য একাধিক বিষয় সামনে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর মাঝেই এ সকল বিষয়কে ছাপিয়ে গিয়ে গরু পাচার মামলা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে বসলেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী।
সাম্প্রতিক সময়ে গরু পাচার মামলায় উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। এপার থেকে ওপার বাংলায় অসংখ্য গরু পাচার করা হয়ে চলেছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বর্তমানে এই সকল ইস্যু নিয়ে যখন সরগরম রাজনীতি, সেই মুহূর্তে হাসিনার সাফ জবাব, “আমাদের দেশ গরুর জন্য ভারতের উপর নির্ভর করে না।”
ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের ঘটনায় হাসিনা বলেন, “গরু পাচারের যে ঘটনা বর্তমানে সামনে উঠে আসছে, তা দ্রুত বন্ধ করা হোক। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনার চলছে। তবে ভারতকেও এক্ষেত্রে ধৈর্য ধরা উচিত।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারতের গরুর উপর আমাদের দেশ নির্ভর করে থাকে না। আমাদের বাংলাদেশে গরুর জোগান ইতিমধ্যে বাড়ানো হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে শেষবারের মতো ভারতবর্ষে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর দীর্ঘ তিন বছর পর পুনরায় ভারত সফরে এসেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত এবং বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করার পাশাপাশি জল বন্টন নিয়েও আলোচনা করা হতে চলেছে। অতীতে করোনা মোকাবিলা থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক ইস্যুতে ভারতের প্রশংসা করলেও তিস্তা চুক্তি এবং অন্যান্য একাধিক ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধান সূত্র বের হয়নি। এই প্রসঙ্গে হাসিনা জানান, “জল বন্টন ব্যবস্থা নিয়ে ভারতের উদারতার আশা করছি। এর দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।” আগামী তিন দিনে এই সকল ইস্যু নিয়েই নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনার মধ্যে কথাবার্তা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।