বাংলাহান্ট ডেস্ক : কাঁচের ঘরে থেকে অন্যের ঘরে ঢিল না ছোঁড়াই ভালো। বাংলাদেশের (Bangladesh) এখন হয়েছে ঠিক তেমন অবস্থা। নতুন সরকার গঠনের পর থেকেই ওপার বাংলায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সংখ্যালঘু বিদ্বেষ। ভারত বিরোধী স্লোগানে রক্ত গরম করছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক নেতারা। এর মাঝেই বাংলাদেশে পাওয়া গেল গৃহযুদ্ধের আঁচ। খাস ইউনূসের শিবিরের বিরুদ্ধেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল বিএনপি-জামাত নেতাদের।
ইউনূস বিরোধিতায় সরব বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক দল
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পরেই প্রধানমন্ত্রীর গদি ফেলে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়ে আসা হয় নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসকে। কয়েক মাস যেতে না যেতেই বিএনপি শিবিরে কটাক্ষ শোনা যাচ্ছে, এক চোরকে সরিয়ে আরেক চোরকে এনেছি। উপদেষ্টা সরকারের নীতির তীব্র বিরোধিতা করতে দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলিকে।
সরকারের কাছে কৈফিয়ত দাবি দলগুলির: ইউনূস সরকারের বক্তব্য, আগে দেশ (Bangladesh) সংষ্কার হবে, তারপর ভোট। কিন্তু এর ঠিক উলটোটা চাইছে বিএনপি জামাত। উপদেষ্টাদের ‘অকর্মণ্য’ বলে কটাক্ষ শানিয়ে তাদের প্রশ্ন, সংষ্কার কোথায়? পুলিশ ঠিক হয়েছে? চালের দাম কমা, রাস্তাঘাটের বেহাল দশা নিয়েও সরকারের কাছে জবাবদিহি চেয়েছে বিএনপি।
আরো পড়ুন : পাল্টে যাবে দেশের ছবি, বেকারত্ব ঘোচাতে এবার বিরাট পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর! অর্থনীতিতেও আসবে জোয়ার
পালটা কটাক্ষ সরকারের: এদিকে পালটা রাজনৈতিক নেতাদের দিকে আঙুল তুললে উপদেষ্টাদের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়াতে দেখা যাচ্ছে বিএনপি নেতাদের। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফাখরুল বলেন, এই সরকার ব্যর্থ হলে জনগণ ব্যর্থ হবে। রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিপক্ষ বানাবেন না।মেপে কথা বলার দরকার। ৫৩ বছর ধরে কোথায় ছিলেন? বিএনপির প্রশ্নের পালটা জবাব দিতে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারকে।
আরো পড়ুন : পুষ্পা-জওয়ান সব ফেল, মুক্তির আগেই প্রথম ১০০ কোটির ব্যবসা করে রেকর্ড গড়ে এই ভারতীয় ছবি!
এদিকে আবার সরকার পতনের পর মাস কয়েক যেতে না যেতেই ফের মাথা তুলে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগকে। ঢাকা, চট্টগ্রামে ফের রাজপথ দখল করছেন হাসিনার অনুগামীরা। এমতাবস্থায় ভারত বিরোধিতার সুর চড়ানো কতটা যুক্তিযুক্ত হচ্ছে তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। চতুর্দিক থেকে সংঘাত টক্করে কীভাবে সামাল দেয় ইউনূস প্রশাসন সেদিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।