বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে ওই দেশে যেন শান্তি নেই। যতই ইউনূস সরকার সবকিছু গুছিয়ে একটু শান্তির নিঃশ্বাস নিতে চাইছেন ততই ঘাড়ে চেপে বসছে বিপদ। তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া বিদ্যুৎ সঙ্কট। ভারতবিদ্বেষী মনোভাবের জন্য আজ বাংলাদেশ অন্ধকারে তলিয়ে যেতে বসেছে। আর এই অন্ধকার কাটাতে এখন নেপালের দরজায় দ্বারস্থ বাংলাদেশ।
বিদ্যুৎ সঙ্কটের সম্মুখীন বাংলাদেশ (Bangladesh):
নেপালের সাথে বাংলাদেশের চুক্তি: বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদ্যুৎ পরিস্থিতি এমন যে অবশেষে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য নেপালের কাছে আবেদন করতে হয়েছে। আগামী ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ ও নেপাল সরকারের মধ্যে এই বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। তবে এই চুক্তিতেও ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জানা যাচ্ছে, এটি একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হতে চলেছে। নেপাল থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ আমদানি করলে সেটা হবে ভারতের ভূখণ্ডের মধ্যে দিয়ে। যার ফলে এখানেও ভারত ছাড়া বাংলাদেশের গতি নেই।
চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য পৌঁছেছে একটি দল: সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh) একটি প্রতিনিধিদল ইতিমধ্যে নেপাল পৌঁছেছে। ৪০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ আমদানির জন্য এত তড়িঘড়ি রওনা। জানা যাচ্ছে, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি দল ৪ অক্টোবর বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। নেপাল, বাংলাদেশের পাশাপাশি এই চুক্তিতে ভারত বিশেষ করে নয়াদিল্লির অবদান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ পেতে গেলে একমাত্র ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে বিদ্যুৎ পেতে হবে।
তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে যে, ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে বিদ্যুৎ আমদানি করতে হলে বাংলাদেশকে (Bangladesh) প্রতি ইউনিটে প্রায় ৬ টাকা দিতে হবে। তবে নেপাল থেকে যদি সরাসরি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারে সেক্ষেত্রে খরচ অনেকটা কমে যাবে। বিপিডিবির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে প্রায় ২৬ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন লাইনের প্রয়োজন পড়বে।
আরও পড়ুন: আর নেই চিন্তা! গ্রাহকদের জন্য বিরাট পরিকল্পনা SBI-র, জানলে উঠবেন চমকে
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সঙ্কটের অন্যতম কারণ: ২০১৭ সালে বাংলাদেশের (Bangladesh) তৎকালীন সরকার শেখ হাসিনা এবং ভারতের আদানি গ্রুপ একটি চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ২৫ বছর আদানি গ্রুপ বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে আদানি গ্রুপের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা বকেয়া রয়েছে বাংলাদেশের। আর এই টাকা মেটানোর জন্য আদানি গ্রুপের তরফ থেকে বাংলাদেশকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। এই চিঠি পাওয়ার পর বাংলাদেশের সরকার কিছু টাকা পরিশোধ করলেও তাতে কোম্পানিকে তুষ্ট করা যায়নি। যার ফলস্বরূপ ১,১০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে ৯০০ মেগাওয়াট করা হয়।
আরও পড়ুন: মিলবে না রেহাই! এবার ঘোর বিপদে মহম্মদ আজহারউদ্দিন, তলব করল ED
আজ বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশ অন্ধকারে ডুবতে বসেছে: তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে বাংলাদেশে (Bangladesh) বিদ্যুৎ সঙ্কট দু’বছর ধরে চলে আসছে। তবে বর্তমানে এই সঙ্কট যেন আরো বেশি দেখা দিতে শুরু করেছে। ফলে গ্রাম, শহরে সময়ের তুলনায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকছে। আর এতে করে সবথেকে ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের শিল্পগুলি। এর ফলে অর্থনীতির অবস্থাও ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে। এক কথায় বলা যায় বাংলাদেশের এখন কাঙাল দশা।