বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পয়গম্বর বিতর্কে প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারতকে একঘরে করে দিয়েছে বিশ্বের একাধিক মুসলিম দেশ। ইরান, ইরাক ও সৌদি আরবের মতো ইসলামিক দেশগুলি যখন ভারতের অবদানের কথা ভুলে তাদের বয়কটের ডাক দিয়েছে, তখন ভারত সরকার পাশে পেল তাদের ‘বন্ধু’ বাংলাদেশকে। অতীতেও ভারতের বিরুদ্ধে কোনো রকম বিতর্কিত মন্তব্য করেনি শেখ হাসিনা সরকার আর এবার পয়গম্বর বিতর্কে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানালেন বাংলাদেশ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ।
এদিন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মাহমুদ বলেন, “যে বা যারাই পয়গম্বর মহম্মদের অপমান করুক না কেন, আমাদের সকলের উচিত তার বিরুদ্ধে কড়া নিন্দা জানানো। ভারতবর্ষেও কিছু ব্যক্তির দ্বারা এহেন বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছিল, যার বিরুদ্ধে ভারত সরকার বর্তমানে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। এই কারণে আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।” এছাড়াও তিনি বলেন, “মুসলিম হোক কিংবা অন্যান্য যে কোন ধর্ম, কারোর প্রতি অপমান করা উচিত নয় এবং আমরা তা গ্রহণ করব না। তবে ভারতবর্ষের এই ঘটনা নিয়ে আমাদের এখানে যদি কেউ শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে, তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”
উল্লেখ্য, বিগত 10 দিনের উপর পয়গম্বর বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়ে উঠলেও বাংলাদেশ সরকার ভারতকে আক্রমণে রাস্তায় হাঁটেনি। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনার তরফ থেকেও কোনো রকম প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি, যা নিয়ে শুরু হয় সংশয়। এর মাঝেই বিশেষজ্ঞরা দাবি করে যে, বর্তমানে ভারতকে চটাতে চাইছে না বাংলাদেশ এবং এছাড়াও এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গেলে উল্টে বাংলাদেশের পরিস্থিতি তলানিতে গিয়ে থাকতে পারে আর সেই কারণেই ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণের রাস্তা নিতে চায়নি হাসিনা সরকার।
এদিন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত মাহমুদের বক্তব্যেও সেই একই ধরনের প্রসঙ্গ উঠে আসলো। যেখানে তিনি অশান্তি কিংবা বিভ্রান্তি ছড়ানো মানুষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন।
বলে রাখা ভালো, প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বক্তব্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ইসলামপন্থী দল এদিন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দেখায়। তবে এক্ষেত্রে কোনো রকম বিক্ষোভ কিংবা অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি বলে জানা গিয়েছে।